কবিতা | বিষয় | কাব্যগ্রন্থ |
---|---|---|
২৬ বছর পর | জীবনমুখী প্রকৃতি | |
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
চিরস্মরণীয় ছবি | আশা জীবনমুখী | |
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
আমাদের আমিত্ব | অন্যান্য জীবনমুখী | |
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
ফ্যাসাদের কলম | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
আমি বিরোধী রয়ে গেলাম,হলোনা প্রতিকার,তিতিক্ষা। | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
এই মুহূর্তে | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
তাচ্ছিল্যের সাগর | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
দানবের বেশে মানব | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
মালিক এবং শ্রমিক | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
নিস্পৃহা | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
বেহালের হাল | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
মধ্য রাতের শেষে | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র | ||
নিঃস্ব মাতা | ||
Added by: কবি সুব্রত মিত্র |
চিরস্মরণীয় ছবি
চিরস্মরণীয় ছবি
সুব্রত মিত্র
হঠাৎ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো তোমাদের সামনে
ভুলে যাবো পুরনো দিনের ঘটনার সব অভিমান
সোনালী স্মৃতিতে জীবনকে রাঙ্গাবো
প্রেমের কবিতার সব প্রেম উপছে পড়বে সেদিন
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখবো বনলতার গালের কালো তিল
এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরেও মনের গভীরে রক্ত গোলাপ ফুটবে সেদিন
আবার ফিরে পাবো সেই বন্ধু মহল
সময়ের হাতছানিতে সময়টা বড়ই মিছে
আবার সময়টাই মূল্যবানসম্পূর্ণ
আমাদের আমিত্ব
এমন ধরনের গুন্ডামি ভন্ডামি আমরা করেছি এবং করব
আমরা এক যুগ ধরে মানুষ মেরেছি আগামীতেও মারবো
আমরা করেছি লুটপাট, আমরা করেছি নিরীহ মানুষের ওপর চোটপাট
আমরা এভাবেই চলবো, আমরা এভাবেই থাকবো ফিটফাটসম্পূর্ণ
ফ্যাসাদের কলম
এ কলম মাখবেনা কোন স্বার্থের মলম
এ কলম শিখেছে ন্যায্যতার দাবি গড়তে;
এ কলম জানে শুধু সোজা পথে চলতে
এ কলম জানে শুধু সোজা কথা বলতে।সম্পূর্ণ
আমি বিরোধী রয়ে গেলাম,হলোনা প্রতিকার,তিতিক্ষা।
তোমরা রাজনীতি করে গেলে সারা জীবন।
দেশটাকে টেনে-হিঁচড়ে—-
তার ঘাড় মটকে সব রস টুকু খেয়ে–
দেশ নামের একটা ছোবড়া রেখে দিয়েছো।
গহীন মেঘের রাগান্বিত মেঘালয়————-
হেঁটে চলে যায় মেঘ হতে বহুদূর
প্রতীক্ষার অজস্র প্রাণ চেয়েছিল অবসান এই পন্থার
অপ্রাপ্ত ক্ষুধা রয়ে গেল অবশেষে———-
হলো না যে কারণের প্রতিকার।
মাথার ওপরে ডাকিতেছে দেয়া
আজ বুঝি কোনো মাঝি ঘনাইবে খেয়া
হেথা পাড়ে বসি আছে কোনো সুন্দরী রমণী
নিয়া আসো মাঝি তারে তুমি——
ঝড় আসিবে যে এখনি।
এই মুহূর্তে
এই মুহূর্তে এমন একটা কবিতা লেখা হোক
যে কবিতায় হবে সোচ্চার সমাজের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ,
স্বার্থে স্বার্থে ঘা লেগে বিস্ফোরিত হবে নেতাদের সব গোপনীয় ছন্দ,সম্পূর্ণ
তাচ্ছিল্যের সাগর
আশ্চর্য কপাট বিড়ালের কান্না লেখে
জীবন প্রনয়ের মুহূর্তগুলো ঘুরেফিরে জীবনকেই শেখে
ধরতে পারিনি অনেক কিছু; করতে পারিনি অনেক কিছু
এই ধরতে আর করতে না পারার মাঝেও যতটুকু স্বর্ণ কমল ফোটাতে চেয়েছি
নিয়তিতে তার হয়নি ঠাঁই; মূল্য পাইনি ওসবের কোনো কিছুরই। সম্পূর্ণ
দানবের বেশে মানব
আমি ওর নাম রাখি সৃষ্টির সর্বনাশ
সুন্দর মধুজল হাতেতে আসে
যেই আমি ভাবি এই বুঝি সুন্দর এ সমাজ ।
আমি এ সুন্দর মানব ,
বিবেকের ফাঁসি দিয়ে ধংসের বাঁশি নিয়ে
হস্তে তলোয়ার চলিছে ঐ রাক্ষস দানব ।
সম্পূর্ণ
মালিক এবং শ্রমিক
লাগলে আমায় কভু তোমার কভু কাজে
হঠাৎ করেই আমার বন্ধু হও মাঝে মাঝে সুবিধাবাদী জীবন তোমার;
ছলচাতুরি করো সকাল সাঁজে
হলে আমি তোমার মত মরতাম ভয়ে ও লাজে।সম্পূর্ণ
বেহালের হাল
জীবনের সন্ধিক্ষণে এসে ধরা দেয় থেমে যাওয়ার শৈলী
দরিয়ার ভাঙ্গা বুকে ছিল কিছু চেতনার অবক্ষয়
অগত্যা তাবেদারের গীতিকার হয়েছিল কোন মধুকর
চেতনার জল ঢালা মাদুরে বসে তারা যেন ব্যর্থ অবতার
অশেষ মায়ার লক্ষ্যহীন ব্যবধান করেনি কোন কিছুর সমাধান
আতঙ্কের বাণী তারা ছড়ায়েছে যেথা হেথা
সময়ের পরাক্রান্ত আজ পরিশ্রান্ত,
ভেসে থাকা সময়ের চিরজীব আজ বড় ক্লান্ত।
আমি দয়াহীন নয় তবু দয়াহীন করে তোলে মোরে সময়
প্রতি পদে পদে আছে দাঁড়ায়ে ব্যথার পাহাড়
আমি হাটিবার তরে পা ফেলি বারে বারে তবু খাই হোঁচট বারবার
ব্যথাদের কৌশল ভেঙেছিল মনোবল
তবু বেহালের হাল ধরে রাখে এই দুর্বল বাহুবল।সম্পূর্ণ
মধ্য রাতের শেষে
শুভ প্রনয়ের ঝঞ্ঝা বিচলিত করে আজ তবু
যায় ডুবে ভাবনার সাগরে;
ভিড়ের মাঝে যায় না মুছে বনলতা কভু,
একে একে চলে গেছে সবাই;বয়ে গেছে জীবনের ঢের সময়
আগন্তুক পথের পথিক জেগে আছে মধ্যরাতের শূন্য গগনে
নিস্তব্ধ রাতের কোন আঁধারের আকাশে ভাসমান চাঁদ অতীন্দ্রিয় প্রহরায়,
সজাগ ভোরের মিশ্রিত কোলাহলে মোহনায় ডুবে শেষ ফেরি ডাকছে আমায়।
আকুল প্রার্থনায় স্মৃতিতে মোড়া নীল খাম শোনায় তাহার নাম
এই ভোর ভোর নয়; এ যে স্বপ্নের ঘোর,
নামের পাশেই আছে লেখা দেখো সেই চির বদনাম।সম্পূর্ণ
নিঃস্ব মাতা
মাগো আমি আসবো, আসবো মাগো।
গেয়ে যাব আবার আমার তেরঙ্গা পতাকায়
লেখা যত শহীদ ভাইয়ের অসমাপ্ত যত গান ।
তুমি কেঁদোনা মা , তুমি হাসো । আগামীর দিশায়
আমার যত ভাইবোন ওঁদের ভালোবাসো ।
হে ভারতমাতা , আমায় যদি কখনো পরে মণে
পাবে আমায়, আমি রব ঐ ভোরের উজ্জল গগনে। সম্পূর্ণ