প্রখররোদের পর পাখিরা নীড়ে ফেরার কথা বলছে
আর আমি দেখছি
একটা শুঁয়োপোকার আস্তে আস্তে প্রজাপতি হয়ে যাওয়া।
মনে হলো পাশের বাড়ির অপরাজিতা দেয়াল টপকে এসে পড়েছেসম্পূর্ণ

মনে হলো সেই লোকটার হৃদয় স্বচ্ছ, বহুদূর থেকে শূন্যতার বিস্তার দেখা যাচ্ছে, সচ্ছ অথচ গভীর।
আসলে সেখানে অদ্ভুত নীরবতা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই,
প্রবালের ভেতর চাঁদে আলো যখন নীলচে-সবুজ হয় ফিরে আসে
চুপিসারে সেই আলোয় দেখলে মনে হয় তার গভীরতার আন্দাজ করা যাবে।
অনেকটা জীবনানন্দের কমলালেবু হয়ে ফিরে আসার মতো হয়তো।সম্পূর্ণ

এমন জীবন খেলা করে – জীবন বা শব্দের সমাহার
অনিবার,
খেলা করে – নিজেদের খেলা
আমি মোড় হয়ে থাকি, সারাখন,
ওরা খেলুড়ে !

যে জন খেলায় সেটা অন্য আমি – চিনি নি কখনো –
কিন্তু দিব্যি জানি, সে থাকে খেলা জুড়ে !সম্পূর্ণ

তানপুরাটার আধখানা তার ছেঁড়া,
সুরধুনীর সুর যে কোথায় রাখি,
আকাশ থেকে পড়লো খসে যেই,
ঠোঁটের ডগায় ধরল বোকা পাখি।সম্পূর্ণ

খুকুমণি জানলা বেয়ে,
এদিক ওদিক দেখছে চেয়ে।
একবার এক পাখি এসে,
ব্যাঙ ধরলো ঠোঁটে ঠেসে।
ব্যাঙটি যখন চিৎকার করে,
খুকুমনি ভয়ে মরে।
মাকে ডেকে খুকুমনি,
বলছে শোনো ও-মামনি।
ব্যাঙে ধরছে পাখি ঠেসে,
পাখা থাকলে দিতাম কষে।সম্পূর্ণ

পাপের মধ্যেও পাপ জন্ম লাভ করে
উপলব্ধি জাগে শুধু বিরহের
মানুষ নিজের চেনা পথে একসময় চলতে ভুল করে
হৃৎপিণ্ড শুকিয়ে যায় কীটপতঙ্গের উৎপাতে
সেথা পড়ে থাকে শুধু একগুচ্ছ তাজা অবমাননা।।

সম্পূর্ণ