মোতাহার হোসেন কে লেখা কাজী নজরুলের চিঠি
ভাবছি আমার ব্যথার রক্তকে রঙিন খেলা বলে উপহাস যে করে, তিনি হয়ত দেবতা । আমার ব্যথার অশ্রুর বহু উর্ধ্বে । কিন্তু আমি মাটির নজরুল হলেও সে দেবতার কাছে অশ্রুর অঞ্জলি আর নিয়ে যাবোনা।সম্পূর্ণ
ভাবছি আমার ব্যথার রক্তকে রঙিন খেলা বলে উপহাস যে করে, তিনি হয়ত দেবতা । আমার ব্যথার অশ্রুর বহু উর্ধ্বে । কিন্তু আমি মাটির নজরুল হলেও সে দেবতার কাছে অশ্রুর অঞ্জলি আর নিয়ে যাবোনা।সম্পূর্ণ
আমার কথা হল : যে যে বন্ধু আছ, কাছে এসো, যে ভালো কবিতা লেখো কাছে এসো — যে যে বন্ধু নও, বাজে কবিতা লেখো, দূর হয়ে যাও কাছ থেকে। বয়সের ব্যবধান তোলা আমার কাছে অত্যন্ত ভালগার লাগে।সম্পূর্ণ
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র।সম্পূর্ণ
তুমি-আমি নাকি কলকাতায় অ্যারেস্ট হয়ে গেছি। চতুর্দিকে গুজব। কয়েকজন চেনা, হাফচেনার সঙ্গে দেখা হলে অবাক চোখে তাকাচ্ছে; ভাবখানা এই, ‘কখন ছাড়া পেলে’। আমার তো এখন একতারা নিয়ে বাউল হয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে কলকাতায়।সম্পূর্ণ
একথা আমি বহুবার মুখে এবং কৃত্তিবাসে লিখে জানিয়েছি। পুলিশের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো লেখকের স্বপক্ষে ( সে লেখকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই হোক না ) দাঁড়ানো আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক কাজ বলেই মনে করি।সম্পূর্ণ
শামসের সমেত ও অধুনা শংকর কী যেন (ছাড়পত্র সম্পাদক ) প্লাস শরৎ ভাস্কর প্রণব প্রভৃতি নিয়ে যে বিরাট জাল ফেলেছিস সেটা এবার তোল। আমরা আর কতো সময় দাঁড়িয়ে থাকবো ? তারপরেও অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকাগামী প্লেনে দমদমে করতে পারলে তবে আমাদের ছুটি।সম্পূর্ণ
সুবিমলের সঙ্গে গতকাল হঠাৎ হাওড়া স্টেশানে দেখা, সন্ধেবেলা। ট্রেন ধরতে না পারায় সোমবার রাত্তিরে সিদ্ধি চলেছিল।
সুভাষ ইদানিং নতুন সাকরেদ জোগাড় করেছে, কফিহাউস থেকে বা কফিহাউসে এনে। সম্পূর্ণ
অপমান করা আপনার সঙ্গত হয়েছিল কি হয়নি, সে-কথা ভাবছি না । কারণ, এটাই ভাবছি যে, অপমান হচ্ছে অপমান । এবং বন্ধুকে কেউ অপমান করে না ।সম্পূর্ণ
আপনার সাথে আমার যে ভুল বোঝাবুঝি গুলো তা কখনই চ্যালেঞ্জ বা পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব নয়, স্পষ্টতই তা দুটো বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব।সম্পূর্ণ