সকালে, বাড়িতে
২২/৬/১৯৬৪
মলয়,
তুমি-আমি নাকি কলকাতায় অ্যারেস্ট হয়ে গেছি। চতুর্দিকে গুজব। কয়েকজন চেনা, হাফচেনার সঙ্গে দেখা হলে অবাক চোখে তাকাচ্ছে; ভাবখানা এই, ‘কখন ছাড়া পেলে’। আমার তো এখন একতারা নিয়ে বাউল হয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে কলকাতায়। সবাই তালে আছে, ‘বাঘে ছুঁইয়ে দেওয়ার’, পর্নোগ্রাফি প্রমাণ করার। সুবিমলকে মে সে কে একজন বলেছে, ‘দেখব কী করে ‘হাংরি জেনারেশন’ বের হয়। সমীর রায়কে টেলিফোন করে ‘আমাদের দাদারা’ বাণী দেওয়ার তালে ছিল; কিন্তু বুঝে গেছে সমীর খচ্চর ছেলে, শালাদের কোঁচা খুলে নেবে। সমীরদার কী খবর ? এদিকে পারিজা খচে লাল। আমরা কেন গনদা পরতিকা দিয়েছি ইত্যাদি…
শৈলেশ্বর বালুরঘাট থেকে ফিরেছে, দেখা করেনি, চিঠিও দেয়নি…ডাকে পাঠিয়েছি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। শৈলেশ্বররা লেখে এক, করে এক, বলে এক, ভাবে আরেক, ছোঃ: ‘এষণা’-র ব্যাপারটা জেনে নিও। চিঠি দিও। লালমোহন বলছিল, ‘ছোটোগল্প’ বেরোবে।
দেবী রায়