আমি বিরোধী রয়ে গেলাম
B কবি সুব্রত মিত্র
তোমরা রাজনীতি করে গেলে সারা জীবন।
দেশটাকে টেনে-হিঁচড়ে—-
তার ঘাড় মটকে সব রস টুকু খেয়ে–
দেশ নামের একটা ছোবড়া রেখে দিয়েছো।
তোমরা যে যখন বিরোধী থাকো–
সে তখন আন্দোলন করো।
বিদ্রোহ করো।
আর জিতে গেলে ?
জিতে গেলেই গলায় সোনার চেন;পরনে সুট বুট,
গদিতে বসে অনর্গল করে যাও লুট।
আমি কোন শাসকদলের প্রতিনিধি,চাটুকদার বা
হতে পারলাম না কোন নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের তাঁবেদার।
আমি সারাজীবন বিরোধীর তালিকায় রয়ে গেলাম।
হলো না প্রতিকার
সুব্রত মিত্র
ঝড় হয়েছে গতকাল
ভেঙেছে কত গাছের ডাল
রক্তকরবীরা পড়েছে লুটায়ে ঐ শত শত
ভাঙ্গা আকাশের দিকে তাকায়ে আছি অবিরত
আগ্রাসী পবন হয়নি আপন যুদ্ধ আনে ক্রমাগত।
স্বপ্নগুলো ঝরে যায় অহরহ
শ্রেণিকক্ষের স্মৃতিগুলো হয়ে ওঠে দুর্বিসহ
ঘোলাটে মেঘ এই ঘোলাটে জীবন হতে কত ঋণ নিয়েছিল গতকাল
পুনর্জন্মের প্রায়শ্চিত্তের মহা রণনের প্রাক্কালে
চেতনার আবির্ভাব হবে চিরকাল
নিশ্চিত প্রতিলিপির শেষ প্রান্তে এসে
যাবেনা;যাবেনা;যাবেনা;সবটুকু মিশে।
গহীন মেঘের রাগান্বিত মেঘালয়————-
হেঁটে চলে যায় মেঘ হতে বহুদূর
প্রতীক্ষার অজস্র প্রাণ চেয়েছিল অবসান এই পন্থার
অপ্রাপ্ত ক্ষুধা রয়ে গেল অবশেষে———-
হলো না যে কারণের প্রতিকার।
তিতিক্ষা/সুব্রত মিত্র
আজি এলো যে বরষা
হবে গাছেদের স্নান;ধৌত করিবে মানবের প্রাণ
যাবো যে মিলায়ে শীতল হওয়ায় অতি সহসা।
মাথার ওপরে ডাকিতেছে দেয়া
আজ বুঝি কোনো মাঝি ঘনাইবে খেয়া
হেথা পাড়ে বসি আছে কোনো সুন্দরী রমণী
নিয়া আসো মাঝি তারে তুমি——
ঝড় আসিবে যে এখনি।
বেলাশেষে থামিবে ঝড়
লুটাইয়া পড়িয়া আছে দেখো তাহাদের ঘর
হইবে একদিন সব স্বাভাবিক;দূর হইবে সব প্রতিকূল
হইবে নির্মাণ তাহাদের বাসর;
ফুটিবে শুভ দিগন্তের ফুল।