কবিতাবিষয়কাব্যগ্রন্থ
দীর্ঘশ্বাস শুধুমৃত্যু রাজনৈতিক
Added by: মল্লিকা রায়
সব রুটি ছড়ানো নয়জীবনমুখী সমসাময়িক
Added by: মল্লিকা রায়
কবিদেরও খিদে পায়জীবনমুখী সমসাময়িক
Added by: মল্লিকা রায়
একগুচ্ছ যুঁইঅন্যান্য সমসাময়িক
Added by: মল্লিকা রায়
নি:শব্দ অভিসারঅন্যান্য জীবনমুখী
Added by: মল্লিকা রায়
সিঁড়ি উপাখ্যানঅন্যান্য জীবনমুখী
Added by: মল্লিকা রায়
পরপুরুষ কেঅন্যান্য জীবনমুখী
Added by: মল্লিকা রায়
জল থেকে তুলে নাও পাপজীবনমুখী বিরহ
Added by: মল্লিকা রায়
চলো স্নানঘরে যাইঅন্যান্য জীবনমুখী
Added by: মল্লিকা রায়
প্রতিশোধঅন্যান্য রূপক
Added by: মল্লিকা রায়
গরীবজীবনমুখী প্রকৃতি
Added by: মল্লিকা রায়
প্যারেডঅন্যান্য রূপক
Added by: মল্লিকা রায়
পঞ্চাশের গুলতানিঅন্যান্য জীবনমুখী
Added by: মল্লিকা রায়

দীর্ঘশ্বাস শুধু

কখনও মৃত আমির ওপর দিয়ে পেড়িয়ে চলেছে
অর্ধ সমাপ্ত বিদীর্ণ এক পথ, মনে হয়
সক্রিয় গ্রন্থিগুলো নিষ্পেষিত করে
সদর্পে বয়ে যায় শব্দে বর্ণে সালংকারা
আত্মের মত, তৃষিত সে পথ সংগোপনে বুঝে নেয়
মাথার ওপাশে ভগ্নাংশের ছাতির মত
রোদ্দুরে অনাহূত স্মৃতিচিহ্ন বুঝি । বুক চিরে
পিচ গলা ব্যাথা কত শত রোদ্দুর নামে
মৃত আমি বলে ওঠি – দ্যাখো ,দ্যাখো এই আনকোরা
মৃত ঝোঁপ ঝাড়, ফাঁটা পোড়া মৃৎচিহ্ন রেখে
আমার উপর জন্মান্তর এ কি প্রতিশোধ ?

স্মৃতিচিহ্ন থেকে কেউ অন্তর্হিত করেছে আমায়
ধূ ধূ মরুপথ ঢেকে গেছে ধূলিস্তুপে, অনাদৃত গাছেদের
ধূষর বৃত্তের কাছাকাছি, আরও এক
অস্ফুষ্ট কক্ষপথ,নিদাঘ প্রদাহ আর মৃতগন্ধ
শবদেহে যেন নির্বিকার বাহকের
অন্তিম সমাধি আর স্তূপীকৃত লাশ !
কোথাও মিলাতে চেয়ে ফিরে আসে বিদ্ধস্ত ত্রাসে
নাগালেই সব ছিল
সেই গন্ধ বুকে চেপে একা সেই পথ
নিরাকার শ্রেনীহীন ফলগুলো পথেতে লুটায়
এদিক সেদিক আমারই মতন
আজও অবিকল, নিশুথ আঁধারে ভূর্য্যপত্র খুলে দেখি
একগুচ্ছ মনস্তাপ রেখেছে সাজিয়ে
করস্পুটে পারেনি কৃতাঞ্জলি, ভরা সে দীর্ঘশ্বাস শুধু।

সম্পূর্ণ

শুয়ে পরে সুন্দরী হলে। ওটা কি সঠিক,
উঠে যাওয়া মঞ্চে সাজালো একক তোমাকে ?
নেমে এস কবি তুমি তো জনতা,ত্রিশ কোটি নগ্ন ভারত
কেন থাকো দূরে দূরে সরে
নেমে এস সরাসরি বিদ্রোহ করো বলো “ওরাও জনতা”
তোমার মতন অনেকই আছে
বক্ষলগ্ন করো, মানে হুশে সাজাও সারিতে
দেখেছ ছেলেটি রিক্সা হাতে কি অযুত
শব্দ সাজানো —–
সব্জি পাশেই ক্ষিন্ন যে বুড়ো আজও লেখে
চিরকূট খুলে —- চেন তাকে তুমি, সে আমার
রুগ্ন ভারত,জর্জরিত ঋণে

সম্পূর্ণ

একগুচ্ছ যুঁইয়ের মালায় আমরা দুলব,
দুলে উঠবে জীবন
সম্মিলিত সুখ দেখাতে, টেনে আনব পেছনের স্ক্রীন
জমা খরচের বাজেয়াপ্ত চ্যাপ্টারের
দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্ঘাত, যেখানে মোচ্ছব দল
মহাকোষের খাতা খুলে
এগিয়ে ধরেছেন লাভ ক্ষতির বায়োডেটা,
ফিনকি থেকে শৌর্য ছুড়ছেন দাতা
মাতৃলব্ধ ফলে, যুঁই গন্ধে বিভোর এ সকাল
প্রতিধ্বনিত ——- প্রচ্ছন্ন স্ক্রীনে
ঘাঁপটি মেরে আছে একরাশ শূণ্য মানুষ
দরজার ওপাশ থেকে যাদের সরানো হয়েছে
তদের কোন অস্তিত্ব নেই

ভবিতব্যের সুরা হাতে নিশ্চুপ তারা,
অন্তর্ঘাতের
ঘাম রক্ত মুছতে ব্যাস্ত |

সম্পূর্ণ

ভেঙে দেওয়া হোক সাজানো সুদৃশ্য —-
থ্যাতলানো জিহ্বার লালায় ছড়িয়ে যাক
ল্যান্ড ল্যান্ড ধ্বংসাবশেষ।
ভাঙা দাঁতের সারি সরিয়ে খিঁচড়ে নেওয়া হোক
এক একটি দেশ কালের যোগসূত্র
চোয়ালগুলো ব্যবধিত হতে হতে সম্পূর্ণ

বাবা গুলো ছোট হয়ে গেছে
ছেলেগুলো উঠছে ছাপিয়ে
অকাল মৃত্যু জলে ভাসবে জেনেও
কি উদ্বেল ঝাঁপ ! কিছু পরে বিক্রিত পণ্যের মতন
নগর দ্বারে সাজিয়ে সাজিয়ে
কি নিশ্চিত যান্ত্রিক যাপন !
সূক্ষ্ম কাপড় বেয়ে মেপে নেবে দৈন্য সংবেদ
কতটা তাত্ত্বিক, কতখানি উপেক্ষিত
ক’ ফোটা অস্তিত্ব তার পার্থিব স্কেচ হয়ে আছে
বাবারা ভুলেছে
সম্পূর্ণ

আকাশ তেমন উঠল মেতে দুর্বিপাকে
সরাসরি নিভিয়ে দিয়ে সূয্যিটাকে, কি
যে বলে মজলে মনের সন্ধিগুলো —-
গান পাঠালো ডাক পাঠালো
জ্বললো আলো,জুড়ল এসে সন্ধিটাকে !

আকাশ তেমন উঠল মেতে দুর্বিপাকে
সরাসরি নিভিয়ে দিয়ে সূয্যিটাকে, কি
যে বলে মজলে মনের সন্ধিগুলো —-
গান পাঠালো ডাক পাঠালো
জ্বললো আলো,জুড়ল এসে সন্ধিটাকে !

সম্পূর্ণ

জল থেকে তুলে নাও এবার আমায়,শুদ্ধ হব
স্খলিত জলে আর পূজ্যার্ঘ নেই
অজেয় সংক্রমণে এখানেও ঢেকে যায় সূর্যোদয়
মহামারীর ইশারায় নেমে যায় একে সম্পূর্ণ

গরীব

খ্যাঁক খ্যাঁক হাসে, মারপিট ঝগড়ায় মাতে
গাল পারে, কালশিটে মুখ গোগ্রাসে গেলে
যে যা দেয়, যখন তখন, ফিক ফিক হাসে
চিৎকার করে এলেবেলে বেফাঁস কথারা
গুছিয়ে চলে না, সশব্দে খায় মোতে, হাগে
চোখে দাঁতে ছোপ বেপরোয়া উদ্ভট সাজ
দুটি বই সাতখানা জামা নেই মসলিন প্যান্ট
শখের চুরুট নেই ব্র্যান্ড সিগারের রিং উড়াণ
ঢক ঢক ঢোক গেলে রেকাব পানীয়ে উগ্র
কি বিকট আঁওয়াজ ! দশ গ্রাস কি বিশাল
হা ‘ এর গহ্বর, গপ গপ খায় মাথা মুখ
ঝুঁকে থাকে পিরামিড থালে, আজন্ম
খায়নি কিছুই যেন,চামচে কাটার দৈন্য
তিন মন ভূঁড়ি ইস্ দশ টন ট্যাঙ্কিও জানে,

সম্পূর্ণ

প্যারেড
– মল্লিকা রায়
লেফ্ট রাইট লেফ্ট —–
গমগমে প্রান্তর, এখানেই লক্ষ্যভেদ
ঘাম বেয়ে এগিয়ে চলার প্যারেড
জলে মুখে পাথরকুচি
কিছুটা সটান শিশুর গালে, কোল ভেঙে
গড়িয়েছে বেলা এখনও অভুক্ত তুই !
কত কত কোলাজে গড়েছি
অর্ধভূখ মাঠের মতন অজস্র দাপাদাপি
কোন আর্জি নেই আর, শতচ্ছিন্ন পরে থাকে অসংখ্য ধূলায়
একই বেশ একই কায়দায়
অভূক্তের একই রুপ, সান্ধ্য কিছু
আঁচল ছড়ায় ,অমায়িক সিক্ত সিন্ধু পেয়ে
দৃষ্টি মেলে সে ও !
যেইমাত্র সরে গেলে বেলা, না পাওয়ার
গ্লানিবিদ্ধ,ঘর্মক্লান্ত মুখ, গৃহ মাটি ঘর
রোদতপ্ত পিচের মতন,উদ্ধত ক্ষত চিহ্ন বয়ে
হতাশার নিরাসক্ত মুখ

সম্পূর্ণ

পঞ্চাশের গুলতানি
– মল্লিকা রায়
দেখেছি রঙ ধরা রুপোলি সিঁথির দুপাশ
ঢেকেঢুকে
চোখ বুঁজে তাজা সু পুরুষ ফ্রান্সিস ঘ্রাণে
সবটাই জানো অনিকেত, কিছুটা আরও এর পরে
তপ্ত জমিন ক্ষীর নদী মোহনার জোন
জ্বলে পুড়ে লুট হয়ে যাবে,কিছুটা এগোলে আরো —

গুবরে পোকারা চিরকালই বিদঘুটে
কামড়ায় ঘাড়ে কাঁধে , হুল ভেঙে যেন মরে চিরতরে

ছোঁয়াব না তাই বলে নিটোল চিবুক অনিকেত ———-সম্পূর্ণ