মন্দাক্রান্তা বিষাদগম্ভীর মেঘ থেকে বৃষ্টির মতো সোজা আমার বুকবরারবর নেমে আসে তোমার এলহাম। আমি যেন গোয়ালপোড়া গরু; যেন ইলেক্ট্রিক তারে জীবন ঝুলে যাওয়া পাখি; আমাকে হৃদয়স্থ করো।
পড়ুন, আপনার নামে। চিৎকার করে। চোখ বন্ধ করে। দেখুন বুক থেকে উড়ে যায় পাখির ঝাক। উড়ে হাঁসফাস; বন্ধী আাকশে।
এইবার ডাকুন; ঘরে ফিরান পাখি, বিষাদ কিংবা নিজেকে।
হাত বুলিয়ে আদর করুন। কাপলে চুমু এঁটে দিন। চোখের জল মুছে দিন।
ফিরছেনা?
তবে কাঁদবেননা।
যার খাঁচাই প্রিয় তারে আপনি কিভাবে দিবেন মুক্ত হাওয়া?
হৃদয় তো আকাশখাঁচা নয়; সেতো এক ধ্যানের অসীম স্বর্গ।
প্রেমিকার কাছে লিখে পাঠান-
‘আমার বুক থাকিতে তোমার আকাশ প্রিয় হতে পারেনা’।
উত্তরের জন্যে অপেক্ষা না করে বরং ফের তারে লিখে পাঠান-
‘কবরস্থ করবে অসীম আত্মার অধিকারী এই আমাকে এমন মাটি কোথায়?’
এইবার অপেক্ষা করুন।
দেখুন-
কীভাবে অসীম রুহের অধিকারী আপনি কীভাবে শুয়ে আছেন একটা খাটে, একটা বদ্ধ রুমে?
ভাবুন-
সসীম কীভাবে অসীমকে বেঁধে রাখে খাঁচায়?