আমার যদি একটা কাঞ্জনজঙ্ঘা থাকতো
আমি তার নাম রাখতাম তোমার নামে,
সূর্যের বড্ড কাছাকাছি বাস করা ভালোবাসার নাম দিতাম লুৎফানেশা!
তুমি হলে সিরাজ বলেই ডাকতে।
সাত রঙা রামধনুটার রং গুলো বদলে যেত রক্তের রঙে ভাগীরথীর জলে।
দেখতে দেখতে আমার কাঞ্চন জঙ্ঘা হয়ে উঠতো রক্তাম্বর ধারিণী মায়ের নীলকন্ঠী প্রেমিকার মতো।
পাহাড়ের ঐ চেনা রং টা আমায় উপহার দিয়েছিলো মাধবীলতা,
আমাদের শেষবার কাঞ্চনজঙ্ঘায় পরস্পরের বড্ড কাছাকাছি আসবার সময়।
তার কপালে ছিল তখন দগদগে আগুন রাঙানো লাল টিপ!
ভালোবাসার রং হয়ে উঠেছিল নীলাভ।
এরপর কতবার যে দেখছি কাঞ্চন কন্যার সেই রক্তাভ রংটা!
আজ তার অনুপস্থিতি আমার
হৃদয়ে স্পর্শহীনতার বরফ জমানো মেঘে বৃষ্টি ঝড়ায় না এক্কেবারে।
তার সন্ধিক্ষন টুকু হৃদয়ে অনুভব করায় বিষের নীল রং।
কাঞ্চন জঙ্ঘার হাড়হিম শীতলতায় আমাদের যদি আর একবার দেখা হত,
আমি সে রংটার নাম দিতাম
আরও একবার মাধবীলতা!!
আমি
তার এলোমেলো চুলের বিনুনিতে গেঁথে দিতাম সাঁতরঙা রামধনুর অশোক কাননের নীল রংয়ের এক গোছা ফুল।