গরমের তোয়াক্কা না করে নিজস্ব ভঙ্গিতে ঠেলাগাড়ির মতোন গড়িয়ে চলাটাই তো আপেক্ষিক জীবন। তাই আজ মেঘবালিকা কে নিয়ে সেই কথাই বলবো যে কথা বলা হয়ে উঠেনি। একটা বিশৃঙ্খলাময় নৌকাবাড়ী যেখানে সময়, পরিস্থিতি, শৃঙ্খলা দোদুল্যমান, একটা জঙধরা লন্ঠন টিমটিম করছে সেই নৌকায় মেঘবালিকা একা, চারিদিকে কোথাও নিরাপত্তা বাতি নেই তবুও সে দিনের পর দিন , রাতের পর রাত পার করে চলেছে নিজের পরমাত্না কে সঙ্গী করে। তবুও তো মেঘবালিকা ঐ দুর থেকে ভেসে আসা আলোর ছটায় সবকিছু উপেক্ষা করে অনাবিল আনন্দের আস্তারন তৈরী করে নিজেকে জাগিয়ে তোলে। বিশ্ব জগতের ময়দানে নিজের জাগরন মঞ্চের উন্মোচন করে সে ঐ মাকড়শার জাল ছিন্ন করে খোলা আকাশের নিচে নিজের একদম নিজের করিডরে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের একসুত্রে বাঁধে তার ভালোবাসার বাঁধনে। একাকী , নিঃসৃত, অবহেলিত মেঘবালিকার আজ মস্তবড় ক্যানভাস রচিত হয়েছে। সেখানে ভিড় করেছে তার হাজার, হাজার অনুরাগীরা। সেখানে তার পরিবার হয়েছে, বাসস্থান হয়েছে, আপনজনের ঠিকানা হয়েছে, হয়েছে নিজেকে স্বপ্রতিভ করার আস্তানা। আজ সেই ইছামতির মেঘবালিকা আর একা নেই , তার সঙ্গে এখন তার নিজস্ব প্রচেষ্টার, ভালোবাসার, অনুভূতির উপর ভর করা সেই মানুষগুলো আছে, যারা তার একতারায় পড়শী রুপে মাটির গান ধরে। যে মেঘবালিকা গ্রীষ্মের শীতল বাতাস হতে পারে , সেই মেঘবালিকা ই তার জীবন যাপনের লয়ে গীতবিতান রচনা করতে পারে। তবে দর্শন বলছে ………… মেঘবালিকা একদিন সপ্তপদীর মতো তার নিজের পথ অন্তহীন করে তুলবে । সবাই জানবে মেঘবালিকা শুধু মেঘবালিকা নয়, সে জীবনের শিল্পী।
2024-04-24