কথা বলতে সদা তৎপর কণ্ঠনালী ক্লান্ত দুপুরের মতো নিস্তেজ;
নিস্তব্ধ রজনীর মতো দারুণ নীরব। অনবরত বয়ে চলা নদীর
পানির মতো রক্ত উত্তাপহীন বরফ কিম্বা জঙেধরা লৌহখণ্ড।
নাড়িস্পন্দন বিলকুল কম্পনহীন যেন অকেজো পড়ে থাকা কাঠের
টেবিল নতুবা চলনক্ষম চায়ের কাপ (যে চায়ের কাপ এখনো
তোমার ঠোঁটের সঙ্গমহীনতার বিলাপ বুকে নিয়ে নিষ্ক্রিয়, নিথর মাতাল।)
এসব নিয়ে বেঁচে আছি আমি; একজন স্বচ্ছ স্ট্যাচু।
তোমরা দেখেছো, আমি হাসছি বত্রিশ দাঁত দেখিয়ে।
আমি কাঁদছি ভীষণ দারুণ আবেগে।
আমি চিৎকার করছি গলা ফাটিয়ে।
আর চুপচাপ বসে চাঁদ দেখি আঁখি জুড়িয়ে।
তোমরা দেখোনি, থরোথরো বস্ত্র খসে পড়া রমনীর মতনই আমি
যাচ্ছি মাটিতে। মৃতমানুষের জিভের মতোন
শক্ত হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে আমি নগড়ব বসুধা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছি স্বর্গে।
শেওলাদামে আগুন
পথ ভুলে যায় মাতাল আর
আমার ভালোবাসার নাম হয় ছান্দিক মৃত্যু।