বাংলা কবিতা, একটা জেড প্লান্টের কাছে হামনমি কবিতা, কবি ইবনে শামস - কবিতা অঞ্চল
কবিতাএকটা জেড প্লান্টের কাছে হামনমি
কবিইবনে শামস
উৎসর্গআগুনের প্রতিবেশী-কে
লিখার স্থানমোহাফেজখানা, চট্টগ্রাম
লিখার সময়জানুয়ারি, ২০২২
4.4/5 - (18 votes)

বিষণ্ণতার ঘুণেধরা ফুসফুস জড়তা নিয়ে হাঁপায়। অস্পষ্টতার ভিতর হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ে বুকশেল্পের আয়ু। ওখানে পিকাসোর কোন চিত্রকর্ম নেই; লিরিকের ভিতর তাই ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে আসন্ন মওসুমের সমস্ত গোলাপ ও তার প্রস্ফুটিত হবার স্পৃহা। মাথার ভিতর মাগরেবের আজান থামায়ে দিতে চায় ফুলের স্পর্ধা; কণ্ঠে কি আভীর!

এমন কোন লিরিকের খোঁজ কি তুমি পেয়েছো- যার ভিতর জেড প্লান্টের অশ্রুধারা লুকানো যাবে? কিংবা একটা মৃত সমুদ্রের সমস্ত উচ্ছাস ও আগুন ফিরায়ে দেয়া যাবে?

যখন চাঁদ ওঠে; একশোটা মুখ হা করে তাকায়ে থাকে আকাশে; বাদামের রং মুখস্ত করতে চাওয়া মাথার ভিতর লোরকাকে নিয়ে স্বগতোক্তি থাকার সম্ভাবনাকে খালাস করে দেয়া কি যায়? বলো, তোমার চুলের মধ্যপথে কতো রাতের নিস্তেজ হওয়ার নিরন্তর কান্না ফুল হয়ে গেছে? জখম চেপে ধরে ছেলেটা গোলাপের বাগানেই তো ছুটে- উচ্ছ্বাসে। সে তো নিশ্চত ঘ্রাণের বিষেই মরে কিংবা কয়েকটা দিন বেশী এই নশ্বর দুনিয়ার সঙ্গ চায়। চায় না?

ভাষার কোন রং নেই যেমন নেই মৃত্যুর। ধরে নিলাম, শাদাই মৃত্যুর বর্ণ। তাহলে কি যন্ত্রণা কমবে? অর্ধবৃত্তের মতোন শুয়ে থাকা বিষণ্ণতার ফুসফুসটা কি স্বাভাবিক হবে? আমি কি দেখবো- জখমি ছেলেটা জলের আঘাতেই ক্ষত বিক্ষত; কোন শানিত তরবানি কিংবা অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেনি কাতেল।

(নোকতা: “ফুসফুসের ভিতর ঘুমায়ে পড়া ঘুঘু” পাণ্ডুলিপির কবিতা

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments