ফিরে এসো চাকা ১৬ – পর্দার আড়ালে থেকে…
পর্দার আড়ালে থেকে কেন বৃথা তর্ক ক’রে গেলে– আমি ভগ্ন বৃদ্ধ নই, বিড়ম্বিত সম্পৃক্ত তরুণ।সম্পূর্ণ
ফিরে এসো, চাকা কবি বিনয় মজুমদারের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। ১৯৬২ সালে কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশিত হয়।
পর্দার আড়ালে থেকে কেন বৃথা তর্ক ক’রে গেলে– আমি ভগ্ন বৃদ্ধ নই, বিড়ম্বিত সম্পৃক্ত তরুণ।সম্পূর্ণ
করুণ চিলের মতো সারাদিন, সারাদিন ঘুরি।ব্যথিত সময় যায়, শরীরের আর্তনাদে, যায়জ্যোৎস্নার অনুনয়; হায়, এই আহার্যসন্ধান।অপরেরসম্পূর্ণ
আর যদি নাই আসো,ফুটন্ত জলের নভোচারীবাষ্পের সহিত যদি বাতাসের মতো না-ইমেশো,সেও এক অভিজ্ঞতা ; অগণনসম্পূর্ণ
করবী তরুতে সেই আকাঙ্খিত গোলাপ ফোটে নি । এই শোকে ক্ষিপ্ত আমি ; নাকি ভ্রান্তি হয়েছেসম্পূর্ণ
কবিতা বুঝিনি আমি ; অন্ধকারে একটি জোনাকিযত্সামান্য আলো দেয়, নিরুত্তাপ, কোমল আলোক। এই অন্ধকারে এই দৃষ্টিগম্যসম্পূর্ণ
সময়ের সাথে এক বাজি ধ’রে পরাস্ত হয়েছি ।ব্যর্থ আকাঙ্খায়, স্বপ্নে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে যেখানেএকদিন জলসম্পূর্ণ
আকাশ আশ্রয়ী জল বিস্তৃত মুক্তির স্বাদ পায়, পেয়েছিলো।এখন তা মৃত্তিকায়, ঘাসের জীবনে, আহা, কেমন নীরব।মহৎসম্পূর্ণ
মুকুরে প্রতিফলিত সূর্যালোক স্বল্পকাল হাসে ।শিক্ষায়তনের কাছে হে নিশ্চল, স্নিগ্ধ দেবদারুজিহ্বার উপরে দ্রব লবণের মতসম্পূর্ণ
কেন যেন সরে যাও, রৌদ্র থেকে তাপ থেকে দূরে।ভেঙে যেতে ভয় পাও; জাগতিক সফলতা নয়,শয়নভঙ্গীরসম্পূর্ণ
একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়েদৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলেপুনরায় ডুবে গেলো-এই স্মিত দৃশ্যসম্পূর্ণ
রোমাঞ্চ কি রয়ে গেছে; গ্রামে অন্ধকারে ঘুম ভেঙে দেহের উপর দিয়ে শীতল সাপের চলা বুঝেসম্পূর্ণ
বেশ কিছুকাল হলো চ’লে গেছো, প্লাবনের মতোএকবার এসো ফের; চতুর্দিকে সরস পাতারমাঝে থাকা শিরীষের বিশুষ্কসম্পূর্ণ
হৃদয়, নিঃশব্দে বাজো; তারকা, কুসুম, অঙ্গুরীয়—এদের কখনো আরো সরব সংগীত শোনাবো না।বধির স্বস্থানে আছে; অথবাসম্পূর্ণ