মৃত্যুহীনাকে কাঁধে নিয়ে মরনশীল আমরা দাঁড়িয়ে আছি
এ মদ বড় আন্তরিকঃ বারবার পাত্রটিকে শুধু চুম্বন করেছি,
আমাকে বিমূর্ত দেখে বাগানের সব ফুল তুলে ভরাও সাজি
এই মদে মাতাল হয়ে স্বাধীনতার কথা ভুলে গেছে কয়েদী
আমার ভালবাসা পাবার পরই তুই হয়েছিস আমার বিবাদী,
যন্ত্রনার মূর্হূতে শরীরের পোকাগুলি বলে, ‘আমরা তোমাকেই ভালবাসি’
পরজীবীর সুখ গোপন করতে মুখের আড়ালে লুকিয়ে রাখিস হাসি-
পশুদেরই শুধু ধর্ম আছে আমরা ধর্মহীন বলে নিজের নগ্নতাকে ঢাকি !
মৃত্যুর ভাবে এই মদ মাতাল করে আমাকে- রাত্রির অরন্য এই হৃদয়
জালিয়াৎ শুধু হেসে গেলি কালপুরুষ থেকে সপ্তর্ষিমণ্ডলে যাবার সময়,
আতুর বলে জানি ভালবাসার সময় কোষে কোষে ভয়ের জন্ম হয়
কানা হয়েও গুপ্তচর দুই হাতের সম্মোহনে আমাকেই খুঁজে পায়
দুঃখ জয় করতে এসে এক ষোড়শীর পেটে দুঃখকেই প্রোথিত করে যেতে চায়
রক্তের স্বাদ নোনতা নয়, মিষ্টি বলে পৃথিবী আরও রক্ত চায়,
যে দেশে নবান্ন, সেখানেই গাছ আর পাখির একসাথে বন্ধন মুক্তি হয় !
এ রাত্রির শেষ নেই, ছোটলোকের দল শুধু মদটুকু হাতে নিয়ে এখনও বসে আছি
তোকে যে নামিয়ে দেব সে উপায় নেই- তুই জীবনের এত কাছাকাছি-
নিজের খাবারটুকু তুলে নিয়ে অন্যের খাবার নষ্ট করা, মাছির দ্বৈতজ্ঞান আমরা পেয়েছি
বিষে বিষক্ষয়- এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা হয়ে গেছি
ঘৃনাকে গ্রহনযোগ্য করার জন্য আমাদের মুখে বসে পুরীষের মাছি
চাঁদের আকাশে সূর্য ওঠায়, বরফ গলে, রক্তে ঢুকে পড়ে নদী
অনুচ্চারিত চিৎকার হিসাবেই থেকে যাব আমরা যত অপরাধী!
জীবনের মানচিত্র বুকে আঁকা আছে, শয়তান তাই তোর এত হাসি,
চৌম্বকক্ষেত্রটির অন্ধকার অনুসরন করে তুই উড়ে চলে যা পাখি,
মৃত্যুহীনাকে কাঁধে নিয়ে মরনশীল আমরা এখনও দাঁড়িয়ে আছি
অস্ত্রের স্বপ্ন দেখো বলে সহবাস কালে অস্ত্রের অনুভূতি পাও তুমি,
আমার এক অংশে এক অবধূত আছে অন্য অংশে আছে তার যোগিনী!