জলও আমার নৌকাও আমার, মালিকের কথা ভাবা ভুল
অনেক টানাপোড়েনের ফলে মূর্হুতের জন্য ফুটেছিল ফুল,
অনেক খুঁজেছি তোকে জুলেখা,অনেক ভালবাসা এসেছিল,অনেক বকুল,
মধ্যরাত্রি পার হল- তারাগুলি কথা বলছে, এখনই সময় অনুকূল
এক বোতল ধেনোর প্রভাবে জুলেখা হয়ে যাবে জবাকুসুম
গাঢরাত্রির এই উদ্ভাসনে পেঁচারও পেয়ে যায় ঘুম –
মালিকের ধান কেটে নিয়ে গিয়ে চোর সেজেছে কল্পদ্রুম
জুলেখা যেসব পুরুষের সেবা চায় আমি ছিলাম তাদেরই একজন,
স্তন যোনি অতিক্রম করে আনন্দ পায়ুতে এখন!
বিগ্রহ কাঁদিস না তুই- এই কালো, সে আমারই প্রতিফলন-
হৃদয়ে যে বিস্ফোরন হয়েছিল বহু কোটি বছর পরেও শুনছি তারই অনুরণন!
অস্ত্রের কারখানা পাহারা দেবার জন্য অস্ত্রধারী আছে,
মানুষের রক্ত দিয়েই মানুষ ফুল ফোটায় ফনীমনসা গাছে,
যেখানেই যাই আমি আমার অমানুষটি লুকিয়ে থাকে ঠিক তার কাছে
বাঁচার জন্য গরীব বাপ জুলেখাকে একদিন দিয়েছিল বেচে,
রাত্রির তপস্যা ব্যর্থ হয়, হারানো আকাশ পাখি এখনও চলেছে খুঁজে।
জুলেখা যখন খুন হয় তখন একমাত্র আমাকেই ছিল তার প্রয়োজন
আমার সবকটি স্নায়ু উত্তেজিত হয়- হিম ঠোঁটে দিলাম যখন শেষ চুম্বন!
কোন পারেই পৌঁছবে না নৌকা, দুপারেই দাঁড়িয়ে আছে বহু লোকজন,
এখন জলের মালিক এক ব্যক্তি – নৌকার মালিক অন্য একজন !