গুরু শিষ্যকে বললেন, ঈশ্বর দর্শণ যদি করতে চাস তবে গুহ্যদ্বার
দিয়ে ঢুকে যা আমার ভিতর –
গুরুর গুহ্যদ্বার দিয়ে ঢুকে পড়ল শিষ্য, মহাস্থানগুলি কালো
একটি মাত্র আলোর রেখা ধরে পৌঁছাল হৃদপিণ্ডের কাছাকাছি,
বেরিয়ে এল তাড়াতাড়ি- শ্বাসরোধ হয়েছিল তার-
গুরু জানতে চাইলেন, কি দেখলি?
শিষ্য বলল, দেখলাম তোমার হৃদপিণ্ডের শিকলে বাঁধা আছি আমি।
গুরু জানতে চাইলেন , আর?
শিষ্য বলল, মেয়েরা সব ন্যাংটো, তাদের দালালরা গান গাইছে ভালবাসার-
গুরু হো হো করে হেসে উঠলেন।
শিষ্য জানতে চাইল, আমাকে ওভাবে বেঁধেছেন কেন?
উচ্চৈস্বরে হেসে উঠে গুরু বললেন, অপরাধীই কেবল ঈশ্বরের কাছে
পৌঁছাতে পারে-তুই অপরাধ কর আমাকে মেরে-
শিষ্য বলল, মুক্তি পাব না, তোমার মৃত্যুর পর আমিও পড়ব ছিঁড়ে।
গুরু বললেন, তবে চল দুজনেই ঈশ্বরের গুহ্যদ্বার দিয়ে ঢুকে পড়ি
দেখি সেখানে যারা বাঁধা পড়ে আছে তারা কে কতটা অপরাধী-
বলে, গুরু শিষ্যের পায়ু দিয়ে ঢুকে গেলেন বললেন, রহস্য দুয়ার
খুলে যাবে আজ, সবটা সহ্য করতে পারিস যদি-
যোনি শিকল পায়ু এবং ধর্ম পার হয়ে শিহরিত শিষ্য বলল,
‘শুনতে পাচ্ছি শিশুর প্রথম ক্রন্দন, আনন্দ মুক্তি নয়, একমাত্র বন্ধন’।