কবিতাযোদ্ধা
কবিনিলুফার গনি
কাব্যগ্রন্থকশবনের পাখিরা
বিষয়জীবনমুখী
লিখার স্থানবনানী, ঢাকা
লিখার সময়২০২২
Review This Poem

আমার কবিতার পংক্তিমালা
আমি তারে করি নিবেদন;
যাঁকে রণসমূদ্রের খর প্রবাহের ত্রাস
আঘাত করেও অনুক্ষণ,
করেনি আঁধারের প্লবতায় গ্রাস।
সহস্রবার নুড়ির আঘাতে
নিজেকে করে আহত,
যিনি স্বচ্ছতাকে করেন নি ধুসরিত।
যিনি কদর্যতায় বারে বারে হয়েও সিক্ত
নিজকে করেন নি ক্লেদাক্ত।
শত বেদনায় হয়েও রিক্ত
নীতির মাল্যকে করেন নি বিভক্ত।
যিনি পুষ্পকলিকে ফোটানোর তরে
কাজ করে যান নিঃশব্দে নির্জনে,
যিনি ইস্পাত এর কঠিন আঁচড়ে
প্রতিজ্ঞ থাকেন পতঙ্গ নিধনে।
জীবনের কাঠিন্য
বোঝা যায়না চায়ের চুমুকে;
সত্যিকার সমরসমুখে
নিজেকে না করলে ক্ষয়িষ্ণু।
চেতনা ঝরেনা হৃদয়ে
কতটুকু মাপকাঠির রেখায়
হতে হয় সহিষ্ণু।
সত্যিকার যোদ্ধা তো সেই
যিনি শত যাতনার বোঝা বুকে নিয়ে
নির্লিপ্ত থাকেন জন আলয়ে
হাসির রেখা নিয়ে অবয়বে
নেত্র জল শুকান নীরবে।
যিনি জন্ম থেকে
কাঁটা সরিয়ে সরিয়ে
নিজের বীথিকা করেছেন প্রশস্থ,
যিনি অভ্রসিক্ত কুহেলী ঝরিয়ে
উষ্ণতার দীপককে করেন জাগ্রত,
যিনি প্রজাপতির শপথে হোচট খেয়েও,
শয্যা পাতেন না বিভাবরীর চাদরে
শান্তির সুপ্ততা ঘেরা সবুজ নিলয়ে
দুঃখকে বরণ করেন সাদরে।
যিনি বারে বারে হন রক্তাক্ত
একটি আলোকস্নিগ্ধ প্রভাতের প্রতীক্ষায়,
যিনি প্রচারণায় নয়, নীরবে অভিসিক্ত
হন জনগণের শীর্ণ মালিকায়।।

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments