আসলে বুঝতে পারিনি কখনও, ভালোবাসলেই অধিকার জন্মায় না মোটেই,
আমি নির্লিপ্ত নির্ভেজাল অধিকার বসত:ভুলেই গিয়েছিলাম
তুমি আমার কেউ নও!
আসলে আমাদের পাহাড়ে যেতে হত কখনও,
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মৃত্যুর সঙ্গে কথা বলা জরুরি ছিল ভীষণ,
মৃত্যু আমাদের কানে কানে বলতো
ভালোবাসাটাই সব,
ওতেই অধিকার বোধ জন্মায়,
আসলে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত শরণার্থীরাই বুঝতে পারে শিখরের গভীরতা।
আমার বুকে পুষে রাখা অহংবোধ গুলো আজ
বদলে গেল অপরাধ বোধ হয়ে।
আমি সাগর পানে হাটছি একা,
সাথে আমার মায়ের,
আমার মাতৃভূমির চিতাভস্ব..
আমার অধিকার গুলো বিসর্জিত আজ..
আমি মেঘনা, পদ্মার জলে রাজ হাঁস হয়ে জম্ম নেব আবার,
সাঁতরে পারি দেব অনন্ত প্রেমের পথ,
মুক্তি যোদ্ধাদের বুক চিরে দেখবো
রাজাকার বাহিনীর হিংস্রতার চেয়েও কত ধারালো ছিল তাঁদের দেশপ্রেম!
আমি সে প্রেম ভাসিয়ে দেব গঙ্গা – পদ্মার ইশৎ উষ্ণ নাতিদীর্ঘ পর্বতের পদতলে!
মায়ের বুক চিরে হৃদপিন্ড আলাদা করার তীব্র যন্ত্রণা,
ভালোবেসে অধিকার জন্মানোর
ব্যর্থ ইতিহাসের মত।
মুক্তি যোদ্ধাররা ঘুমাক নিশ্চিন্তে,
অধিকার হারানোর লড়াইয়ে নরেশ পরেশরা প্রমান দিক ভালোবাসার।
ততক্ষনে তফাৎ যাক সব প্রেম,
আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও মাতৃভূমির সব দলিল দস্তাবেজ!
আমি প্রেমহীন অধিকারের তাবেদারী করিনা।
ঘেন্না করি তোমার নির্লজ্জ উদাসীনতা।
আজ ব্যবচ্ছেদ করব প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস..
উপলব্ধি করব জমে থাকা অপরাধ গুলোর দামভিকতা!