কিস্তির লোক এসে উঠোনে চেয়ার পেতে বসে থাকে।কামরাঙা মারবেলের মতোন দুপুর গড়ায়ে যায়।আমলকী গাছ থেকে কবুতর একটা দুটো পশম খুটে নিচে ফালায়
আম্মা টাকার খোঁজে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে।
রান্নাঘরে মরা পুঁটিমাছের পাশে ছাঁই–মাছি ওড়ে।খাড়া বটির উপরে প’রে ছোট বোনের হাত কেটে যায়
কাঁদতে কাঁদতে ময়না আমার লেবু ফুলের মতোন ঘুমায়।
কোথাও কারো কাছে টাকা ধার না পেয়ে আম্মা কিস্তির লোক থেকে পালায়
জীবন থেকে পালাতে পারেনা
সুদের হারে বেড়ে যায় গ্যাস্টিকের ব্যাথা
সন্ধ্যায় শালিকের নিস্তব্ধতা নিয়ে ঘরে ফিরে
ভাত খেতে বসে আম্মা কাঁদলে
ব্যর্থ হয়ে যায় আমার স্বার্থক কবিতা।