আমরা যখন একসাথে হাঁটতাম, প্রাণখুলে গাইতাম,
তখন আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ ছিলো না,
তারপর তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেলো, আর-
আমাকে পাঠালো সাংগঠনিক প্রস্তাব, তারা জানালো-
যদি ভালো থাকতে চাও তবে পক্ষ নাও, এটাই নিয়ম!
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কার পক্ষ নিতে বলো আমাকে?
তারা কেউ রাজনৈতিক সংঘের প্রস্তাব নিয়ে এলো,
কেউ এলো ধর্ম নিয়ে, কেউ বললো, আমাদের দলে এসো-
আমরা ধর্ম, রাজনীতি কিংবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর নই!
আমি হেসে উঠলাম, তারপর তাদের দিকে তাকিয়ে বললাম-
‘যদি তাই হয়, তবে জেনে রাখো আমি তোমাদের কেউ নই,
আমি কবিতার, স্পষ্টত কবিতার লোক, এবং আদিম সেই মানুষ-
যার শরীরে কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর শিকার করা মানুষের পোষাক নেই,
আমি দৃশ্যমান নগ্ন অথচ তোমাদের চেয়ে স্পষ্ট!’
তারা একে একে সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলো, ভাবলো-
আমি বুঝি একা রয়ে গেলাম এখানে!
অথচ আমি পরিস্কার শুনতে পাচ্ছি-
একদল যুবক কবিতার কথা বলতে বলতে হেঁটে আসছে!
গাইছে প্রাণ খুলে, হাসছে!
আমি চাই ওদের মধ্য থেকে অন্তত-
একজন আবার ঐ প্রস্তাবনার ব্যারিকেড পেরিয়ে-
নিজেকে স্রেফ কবিতার বেদীতে উৎসর্গ করুক!