একটানা একুশ ঘন্টা সিলিং থেকে ঝুলে ছিলো প্রেমিকা,
ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মতো বেদনার্ত একজোড়া চোখ বুঝে ছিলো সে,
শরীরে জড়ানো শাড়ির আঁচল সিলিং থেকে নামতে নামতে-
শেষ মুহূর্তে গিয়ে আর স্পর্শ করতে পারেনি মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা,
কাঁপা হাতে লেখা সুইসাইড নোটগুলো!
চোখ নেবে বলে যে যে কাক এসে বসেছিলো তার জানালায়,
অনুমতি নেবার মতো কাউকে না পেয়ে কার্নিশেই ঘুমিয়ে গেছে একা!
বলেছিলাম, তোমাকে দিয়ে ওসব হবেনা, তোমার ঐ চোখ যদি যায়-
তবে কোনো জাদুঘরেই যাবে,
মরণোত্তর চক্ষুদানের নামে অন্যের চোখ গহ্বরে মানাবে না কিছুতেই!
তুমি বরং তোমার হাসি দান করে যাও অন্য কোনো প্রেমিকার ঠোঁটে,
আমি সেখান থেকে চুমুক দিয়ে নেবো প্রথমে তোমাকে তারপর চুম্বন!
মেয়েটা বলেছিলো, তবে আমাকে এখনই নাও, সংবাদপত্রে আমাকে-
ওরা নিলামে তুলেছে, আর কি সব ভাষা তার! সুশ্রী, শিক্ষিতা মেয়ের জন্য…
আমি তার চোখে চোখ রেখে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম সমস্ত আহ্বান,
বলেছিলাম, কিছু প্রেমকে কেনো আমরা চারদেয়ালে আটকে ফেলবো,
কেনো আমাদের প্রেম লোহার খাঁচায় বন্দী সিংহীর মতো অস্থির পায়চারি করবে!
কাউকে প্রচন্ড ভালোবাসলে ভুল বুঝতে হয়, মেয়েটাও তাই করেছিলো,
ভেবেছিলো আমিও প্রেমের নাম করে বহুগামী জাহাজের মাস্তুলে বসে-
দূরবীনে চোখ রেখে প্রেমিকা খুঁজে বেড়াচ্ছি!
তাই এক সমুদ্রের রাতে সমস্ত অভিমান সুইসাইড নোটে লিখে-
একটানা একুশ ঘন্টা সিলিং থেকে ঝুলে ছিলো প্রেমিকা!
2023-03-14