অভ্যন্তরস্ত প্রলয়কালীন ধ্বংসস্তুপের ওপর বসে আছি অনাকাঙ্ক্ষী শিবের মতো , আমার দুই পায়ে রতি মেঘের একেকটা জৈবনিক পর্দা উপচ্ছায়ার সমগ্র রাতে শুধু মগধ দেশের নারীর আবছায়া অন্ধকারে নীল সেলোনিয়াম ধাতুর স্বয়ংক্রিয় তরলের ধাতুময় স্রোত জেগে উঠলে আমাদের অন্তরীক্ষে এক একটা অক্ষর যোগের সম্ভবামি পাহাড়গুলি বিন্ধ্র হয়ে উঠল ,
লাল রক্তের পাশে আমি ২৯ দৈর্ঘ্যের বদরিকা তৈরি করছি নিকুঞ্জ অন্ধকারের উন্মত্ত পিরামিড সমগ্র দিয়ে , পৃথিবীর সব নারীরাই ধ্বংসাত্মক প্রহেলিকা জ্বালায় ছিন্নমস্তার কুক্কুটাসনে বসে
যজাতি যুধাজিৎ শঙ্খের মতো নীল হয়ে উঠলেন , লাল কার্পাস তুলোর পলল পাথরের নিচে আমার অঙ্কুর জেগে উঠতেই আদিম প্রপিতার তৃতীয় অন্তরীক্ষে নক্ষত্রদের মৃতদেহ একা একাই বয়ে নিয়ে যাচ্ছি কাঁধে করে নীল নীল গোপন গুহা কন্দরের নালী মুখের দিকে। শাঁখ বাজলেই নগ্ন ঈশ্বরীরা কাঁটাওয়ালা জিব কোমরে ঝুলিয়ে রাখে পচা পাকস্থলীর তিনটা প্রকোষ্ঠ
আমি শুধু টাংস্টেন মার্কা দাঁত দিয়ে কেটে ফেলি এই ডিম্বক রন্ধ্রের গোলকীয় সংযোগ , মধ্যমা, স্থাপন , নর্তকের ধ্বজা সৌরতন্ত্রের নীল বীজ , পেরিয়ে যাই অবশেষ নদীর মৃদু তরঙ্গায়িত কঙ্কালের ধ্রুবতারা , বিভূতির এক একটা ঈশ্বরীয় সম্বন্ধযুগ অথচ আমরা পাশা খেলছি এখনো পারদ খাওয়া আদিম পিতার ভগ্নাবশেষ নদী মাতৃকার সাথে, জটায়ু তিনি গর্ভধারণ
৩০ ট্যানজেন্ট ছিদ্রের থেকেও অনাদি ক্ষেত্রফলের মতো আমাদের নীল অববাহিকার আদিম সন্তানেরা নিভে যাচ্ছে গ্রহাভ্যন্তরের দিকে মুখ করে যেখানে জমাট ধমনীর লাল হরিণীরা মাঝ রাতের ডানাহীন অন্ধকারে ভেসে যায় মৃদভেদী চাঁদের মতো
ঈশ্বর বিসর্গের মতো দীর্ঘসীমানায় ধ্যানাসন স্বর্ণকারে বসে বসে গলনাঙ্ক পারদে একটি সাদা রঙের ঈশ্বর মুন্ডুটাকে বসিয়ে রেখেছে অপার্থিব ত্রিভুজের মতো প্রবদ্ধ কোণের উৎস্রোতে