কবিতাছত্রাকের মুণ্ডবিহীন ঈশ্বর ও তেত্রিশ দ্বাপরের নক্ষত্রযোগ
কবিনিমাই জানা
বিষয়প্রকৃতি
লিখার স্থানরুইনান , সবং
Review This Poem

সাদা থকথকে দই মেশানো রক্ত তঞ্চনের থেকেও আদিম কোনো করোনারী আর্টারির কথা বলছি প্রবৃদ্ধ কোণে বসে থাকা নীল নগ্নিকাদের চতুর্থ লিঙ্গের মিশরীয় ভূখণ্ডের শ্বেত প্রদর মুখে নিয়ে ,

উৎক্ষিপ্ত ছিন্নমস্তার মতো মুদ্রারত নটরাজের বিভঙ্গের থেকেও দূষিত ম্রিয়মাণ পাইন কাঠের তৈরি এস্রাজ বাজাচ্ছেন , উগরে দিচ্ছেন সাদা রঙের বরফকুচির কফ ও রুপোলি রিপুর বর্জ্য সমগ্র ,
তা থৈ নৃত্যের অমৃত ভাণ্ড ছেড়ে লাল চামচ দিয়ে মাথার সুদৃশ্য সুষুম্না রস বের করছি আমি
ছাই ছড়ানো ভয়ংকর ভূখণ্ডে তত্ত্ব কালী নৃত্যের শেষে নিজেই সাদা রঙের মধু ও ঘৃতাহুতির যজ্ঞের ধোঁয়ায় ধুয়ে ফেলছেন নিজের ভয়ংকর নিশুতি যজ্ঞের কশেরুকা ও জ্বলন্ত চিতার হাড় , সুস্বাদু লাগছে মজ্জারস
আমি রেনুস্থলীর মতো জমাট , অন্ধকারে সোনালী ব্যাঙাচি ও হো প্রজাতি ঈশ্বরীয় জীবিত রজস্বলার গন্ধর্ব ছত্রাকগুলোকে নিয়ে নীল ময়ূরাক্ষী হয়ে যাব সবুজ অভয়ারণ্যের ঘাসে নেমে, ক্রমশ কৃষ্ণ মন্ডলে চলে যাচ্ছেন চাঁদ ধীবর আর শংকরাচার্যের মুণ্ডবিহীন আদিম পুত্র সন্তানেরা তাদের যৌন ক্ষমতা ছিল না ঈশ্বরী অভিশাপে
অ্যারোটিক পাথরের থেকে আরও ব্রহ্মযোজন দূরে থাকা কোন পাতালে নিজের আঁতুড় ঘরের পঞ্চদশ দাইমাকে নিয়ে আমি নিজের নাড়িভুঁড়ি গুলোকে অসম্ভব মরচে লাগা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি বিস্ফোরণের প্রাক মুহূর্তে , আমি নীল শতদ্রু
ছড়িয়ে দিচ্ছি নারীর ভৌতিক দেহ আলফাবেটিক বিয়োগান্তক শব্দমালা , খয়েরী সেন্ট্রোজোমের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে আমার কাঁটা আটকে থাকা গলার সাপের কঙ্কাল , সবুজ মৃত্যু ছাড়া আর কোন হৃদপিণ্ডের অসুখ নেই এখন ,
মোম মেশানো পিশাচেরা গন্ধর্বের আকন্ঠ সংগীত ফিরে ত্বরণহীন অপরাজিতার ভৌমবীজ চিবিয়ে খাচ্ছে বৈকুণ্ঠের অতিপৃক্ত সদর দরজায় , কাটা মুন্ডুর চারপাশে আমি জীবিত কিসমিসদের জমিয়ে রাখছি ঞ চিহ্নের মতো , লাল চন্দন গাছটি তেজস্ক্রিয় দণ্ড

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments