কবিতাশ্মশান নিরাময় ও নিকুঞ্জ গাছের বারানসি স্নান
কবিনিমাই জানা
বিষয়মৃত্যু
উৎসর্গমা কে
লিখার স্থানরুইনান , সবং
লিখার সময়ডিসেম্বর ১০ ,২০২৩
Review This Poem

শৈলেন্দ্র নিরাময়ের মিগযাউম ঘূর্ণিবাতের নিচে শ্বাসকষ্টের দলা পাকানো কফের ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার দৈবিক পাতাগুলো ছটফট করতেই মৃত্যুর তৃতীয় দিন অবধি আমরা শুভ্রনীল কৈলাসে আদ্ধ শ্রাদ্ধাদির নিমগ্ন স্নানে গেলাম
মৃত্যুই এখানে শর্করা দানার মতো শুয়ে থাকে প্রতিটি শ্মশানের চৌকাঠে , সাদা ছাই কোলেক্যালসিফেরল দাঁত , ডুওলিন ইনহেলার , মাস্ক আর নেবুলাইজার অন্ধকারে বিসর্পিলাকার প্রস্রবণ সাপগুলো রাতের জ্যামিতি ভেঙে পরাবৃত্তের রাশি বরাবর আমাদের হাতে শূন্যস্থানের প্রবৃদ্ধ কোন দিয়ে গেছে , নিকুঞ্জ গাছটি ক্রমশ শঙ্খকূট পাহাড় হয়ে যায়
বিশুদ্ধ হাহাকারের মতো হরিণীরা আঙ্গুরের জলাশয় ফেলে জানালার কাছে আত্মসমর্পণ শেষে দেখেছি শূন্যস্থানের ভেতর কিভাবে অঙ্কুরিত জ্বলন্ত চিতাকাঠ থেকে উঠে আসে মায়ের অতিরিক্ত নাভি বিন্দুর লাল সর্পিলাকার বারানসি অবধি ,
মৃত মায়ের মুখে তিনটি বিষ্ণুর পদ্মবীজ ঢুকিয়ে দেই অনন্ত যোজন পরে কাশ্যপ হয়ে ওঠার জন্য
অগস্ত্য স্নানের যাজ্ঞ্যবল্ক্য মুনি আশ্রমের শাকল্যকে অভিশাপগ্রস্থ করছেন , আমাদের তখন নিপুন ৫৫০ দৈর্ঘ্যের সুমেরুজ স্থানাঙ্কের নক্ষত্রেরা জাগতিক পরাবৃত্ত ছিল , নিঃসঙ্গ করে যাচ্ছে মা একদিন যে পৃথিবীতে এসেছিল জরায়ু ছিন্ন করে আমিও তাই ব্রহ্মপুত্র হতে পারিনি , দলা পাকানো পিন্ডগুলো লৌকিক জলে ভাসিয়ে দেই

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments