বিনিদ্র রাত্রির পরে মাথায় জড়তা আসে, চোখ জ্ব’লে যায়,
হাতবোমা ভ’রে থাকে কী ভীষণ অতিক্রান্ত চাপে।
এ-রকম্ম অবস্থায় হৃদয়ে কিসের আশা নিয়ে
কবিতার বই, খাতা চারিপাশে খুলে ব’সে আছি?
সকল সমুদ্র আর উদ্ভিদজগত আর মরুভূমি দিয়ে
প্রবাহিত হওয়া ভিন্ন বাতাসের অন্য কোন গতিবিধি নেই।
ফলে বহুকাল ধ’রে অভিজ্ঞ হবার পরে পাখিরা জেনেছে
নীড় নির্মাণের জন্য উপযুক্ত উপাদান ঘাস আর খড়।
প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলি ক্রমে জ্ঞান হয়ে ওঠে।
এ-সকল সংখ্যাতীত উদ্ভিদ বা তৃণ, গুল্ম ইত্যাদির মূল
অন্তরালে মিশে গিয়ে অত্যন্ত জটিলভাবে থাকা স্বাভাবিক।
কোনো পরিচিত নাম বলার সময় হলে মাঝে মাঝে দেখি
মনে নেই, ভুলে গেছিঃ হে কবিতারাশি, ভাবি ঈষৎ আয়াসে
ঠিক মনে এসে যাবে, অথচ… অথচ… হায়, সে এক বিস্মিত,
অসহ্য সন্ধান, তাই কেউ যদি সে-সময়ে ব’লে দেয় তবে
তপ্ত লৌহদণ্ড জলে প্রবিষ্ট হবার শান্তি আচম্বিতে নামে।
2019-12-11
খুবই মনে পড়ে গেলো,,,কিছু না বলা স্মৃতি
খুবই সুন্দর