শিশুকালে শুনেছি যে কতিপয় পতঙ্গশিকারী ফুল আছে।
অথচ তাদের আমি এত অনুসন্ধানেও এখনো দেখি নি।
তাঁবুর ভিতরে শুয়ে অন্ধকার আকাশের বিস্তার দেখেছি,
জেনেছি নিকটবর্তী এবং উজ্জ্বলতম তারাগুলি প্রকৃত প্রস্তাবে
সব গ্রহ, তারা নয়, তাপহীন আলোহীন গ্রহ।
আমিও হতাশবোধে, অবক্ষয়ে, ক্ষোভে ক্লান্ত হ’য়ে
মাটিতে শুয়েছি একা— কীটদষ্ট নষ্ট খোশা, শাঁস।
হে ধিক্কার, আত্মঘৃণা, দ্যাখো, কী মলিনবর্ণ ফল।
কিছুকাল আগে প্রাণে, ধাতুখণ্ডে সুনির্মল জ্যোৎস্না পড়েছিলো।
আলোকসম্পাতহেতু বিদ্যুৎসঞ্চার হয়, বিশেষ ধাতুতে হ’য়ে থাকে।
অথচ পায়রা ছাড়া অন্য কোনো ওড়ার ক্ষমতাবতী পাখি
বর্তমান যুগে আর মানুষের নিকটে আসে না।
সপ্রতিভভাবে এসে দানা খেয়ে ফের উড়ে যায়,
তবুও সফল জ্যোৎস্না চিরকাল মানুষের প্রেরণাস্বরূপ।
বিশেষ অবস্থামতো বিভিন্ন বায়ুর মধ্য দিয়ে
আমরা সতত চলি; বিষাক্ত, সুগন্ধি কিংবা হিম
বায়ু তবু শুধুমাত্র আবহমণ্ডল হ’য়ে থাকে।
জীবনধারণ করা সমীরবিলাসী হওয়া নয়।
অতএব, হে ধিক্কার, বৈদ্যুতিক আক্ষেপ ভোলো তো,
অতি অল্প পুস্তকেই ক্রোড়পত্র দেওয়া হ’য়ে থাকে।