ছেলে টা তখন নিজের সমস্ত অনুরাগ গুলো পাথর ভাঙা পাহাড়ের পথে বিসর্জন দিতে দিতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেছিলো,
ভালোবাসুক, অন্তত কেউ একজন ভালবাসুক!
একচিলতে
ভালবাসার প্রত্যয়ে
কত শত মিছিল পেরিয়ে
কত দাবীর দৃপ্ত স্লোগানে
কত মানুষের চোখের জলে
ভিজে গেছিল রাজপথ,
হিসেব রাখেনি কেউ।
মানুষ শুধু কেঁদেছে মিথ্যে আশ্বাসে
দিনের আলোয় খুঁজেছে চাঁদের অস্তিত্ব,
ছেলে টা সব জানে,
জানে পথ চলার তীব্র যন্ত্রনায় যখন শুষ্ক বুকে
আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল আদম – ইভের সমস্ত আল্হাদিপনার নৃভৃত দৃশ্য গুলো,
তখনও তার মনে হয়েছিল,
ভালোবাসুক, অন্তত কেউ একজন দুমড়ে মুচড়ে ভালোবাসুক।
আজ বড্ড বেশি মনে পরে
ছেলে টার হারিয়ে যাওয়া প্রতিশ্রুতি গুলো,
ভালোবাসার উষ্ণ আলিঙ্গনে
ভিজে যাওয়া মুহূর্ত গুলো বারবার
নির্লজ্জতায় জড়িয়ে ধরতে চায় সামুদ্রিক ঢেউ গুলো কে,
পথে দাড়িয়ে থাকা ভিক্ষুক
দু টাকায় খুঁজে পায় ভালোবাসার স্বাদ,
দল পাল্টানো নেতাদের ভিড়ে মিছিল গুলো কলুষিত হয় বারবার,
ছেলে টা দেখছে নির্বাক চিত্তে
প্রেম নেই কোথাও,
বিছানায় শোড়শী বিক্রি হয়
নিজের অনিচ্ছায় কয়েক টা মূল্যহীন মূল্যবান নোংরা কাগজের টুকরোয়।
ক্লান্ত ছেলে টা তখনও চিৎকার করে বলতে থাকে,
ভালোবাসুক, অন্তত কেউ একজন ভালোবাসুক।
কত দিন হাতে হাত রেখে ভালোবাসার কথা বলেনি
কেউ
কত দিন বুকে মুখ গুঁজে দু ফোটা চোখে জলে ভালোবাসার বিছানা গুলো ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেয়নি কেউ,
কত দিন মিছিল গুলোতে প্রাণ নেই,
একটা, একটা করে ভেঙে চুরে তছনছ হয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো
হারিয়ে দিয়েছে আমাদের সব ভালোবাসা,
আমরা বিক্রি হয়ে যাচ্ছি ক্রমশঃ ক্ষমতার কাছে,
লোভের কাছে, আমাদের নির্লজ্জ আদিম লালসার কাছে,
হেরে যাচ্ছি, ডুবে যাচ্ছি ক্রমশঃ,
আমরা, ছেলে টাও,
আমাদের লাল গোলাপ গুলো আজ নাকি বাবরের রক্তে রাঙানো
দিল্লির রাজপথ
শ্রীরাম ধামে ব্যাণিজিক মুনাফা অর্জন করছে,
আমরা লোভ লালসার দিল্লির সিংহাসনে মহারাজার ভণ্ড অভিষেকের অপেক্ষায়,
আর ছেলে টা তখনও অপেক্ষা করে আছে, ভালোবাসুক,
কেউ অন্তত একজন ভেঙে চুরে ভালোবাসুক।