এ অরণ্য এ অরণ্যানী
সবুজে সবুজ হরিৎ বনানী।
প্রভাত সূর্য সরল কিরণে
প্রবেশিছে অভয় গহন বনে।
এসেছে ফাগুন ঝরিছে পাতা
কুয়াশা ঘন ঢেকেছে মাথা।
দীর্ঘ ঋজু তরুর সারি
কত বৃক্ষ গুনিতে নারি।
এ বনরাজি মাতাল সাজি
করেছে মাতাল মোর মনেরে আজি।
ক্ষুদ্র জনপদের বিচিত্র বাহার
পাহাড়ি নদী পাশেতে তাহার।
চা বাগিচা সারি সারি
কি শোভা সে করিছে ফেরি।
অতি শীর্ণ জলধারা লয়ে
বেঁচে আছে জয়ন্তী।
প্রশস্ত বক্ষে উপল খণ্ডে
যেন নির্মলা প্রশান্তি।
জীপ সাফারি সবেগে ধায়
জয়ন্তীর বক্ষ ভেদী।
সর্পিল পথ করেছে রচনা
ক্ষীণ ধারায় বারবার ছেদী।
একমুখী যাত্রা শেষে
হুড-খোলা জীপ দাঁড়াল এসে
একস্থানে, যেথায় পাহাড়ে পাহাড়ে
কোলাকুলি করে ভারতে ভুটানে।
ভুটান পর্বত গাত্রে দুই মহাকাল
সন্ন্যাসী করেন পূজা সন্ধ্যা সকাল।
পূজা দরশন করি সমাপন
জয়ন্তী বক্ষে মোদের অবতরণ।
নদী জলধারার উপরে অস্থায়ী এক সেতু
হয়েছে নির্মিত ভারত-ভুটান সংযোগ হেতু।
পার হয়ে সেতু বসিলাম উন্মুক্ত জীপে,
আন্দোলনে আলোড়নে ছুটিল জীপ খানি
আনিল ফিরায়ে মোদের প্রথমের
সেই দ্বীপে।।