কবিতাএকটি মৃত অধিকরণ কারক ও শব্দগম্য আত্মীয়তা
কবিনিমাই জানা
বিষয়বিরহ
উৎসর্গহিলিয়াম ঠোঁটের নারীকে
লিখার স্থানরুইনান , সবং
লিখার সময়১৯ শে মার্চ ২০২৪
Review This Poem

২৪ × ৭ ঘন্টার পরিষেবা সংক্রান্ত অপারেশন টেবিলের নিডিল ব্যাক পুশ , শীতল ও ম্যানচেস্টেরীয় জাহান্নাম বিক্রির পর আমিও এক মোল সোম রক্তরস গৃহীত তৃতীয় প্রহর জুড়ে কৃষকদের মতো মৃত বাদাম বাগানের নিচে ধূসর বর্ণের পর্ণমোচী গন্ধ নিয়ে এ মহাপৃথিবীর মহাশূন্য কাল শব্দ ক্ষরণ ও জাগৃতি অধিকরন স্থান ভেদ করে চরম গতি লাভ করছে।

অন্ধকারের মতো বিষাক্ত তক্ষক কচ্ছপের ভাস্কর্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভাঙ্গা হাড়ে ঢাকা পাহাড়ের দিকে , আমি আঙ্গুল ঢুকিয়ে পাহাড়ের জলনাঙ্গ থেকে পৃথিবীর তৈলাক্ত দাঁত ছিঁড়ে নিয়ে আসি

রক্ত , ক্ষয়জাত আগুনের মতো অগ্নুৎপাত মাথার ভেতরে সুষুম্নস্নায়ুর একটা ছদ্মবেশ মায়া পরীর চরিত্রের ছায়াকে হত্যা করতেই মুখ দিয়ে গল গল করে সমাধি পতনের রক্ত বেরিয়ে আসলো , বিসর্গ বিন্দু কোন যতি চিহ্নের নাম নয় , তীব্র চিৎকার কে কাকে শেখায় এই মধ্যরাতের মুখাগ্নির কব্যবাহন অগ্নি বলয়ের মাংসাশী খন্ড ফেলে, তীব্র বায়ু গন্ধের দুটো উট নেমে আসছে তাদের ফিতা কাটা জামার লবণাক্ত শ্রোণী শব্দের কম্পাঙ্ক বাজাতে বাজাতে, রাত দুলছে লেজহীন ভঙ্গিমায় মৃত মানুষের হাড়ে ভূকম্পন নিয়ে

তৃতীয় সম্পৃক্ত পদের গ্রাফটিং অসুখ , বিছানা আদিম ভয়ানক উন্মাদ নীল লোমশ ঘোড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ , অন্ধকার উপবনের লাল নিষিক্ত বীর্যপাতের তৃতীয় সামান্য জ্যোতিঃশ্বর দর্শনের পর আমাদের মৃত্যু নামক একটা রৈখিক প্রপিতামহ জন্মেঞ্জয়ের নতুন বংশগতি তৈরি হলো , রক্তটি উষ্ণ পাতা হয়ে খসে পড়ছে বিদীর্ণ শালভূমির মাথায় , সাইরেন কারখানার দ্বাররক্ষী কিউবিক পিল খেয়ে মৃত মানুষদের স্বপ্ন দেখছে , শালপিয়াল রেস্তোরাঁ আর কিছু নয় একটি অবিভাজিত কোষ পর্দার লাল ইরাবতী অন্ধকার মাত্র

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments