কবিতাস্তব্ধ সময়
কবিফারহান নূর শান্ত
বিষয়অন্যান্য, জীবনমুখী, রূপক
লিখার স্থানময়মনসিংহ
লিখার সময়২০১৯
5/5 - (1 vote)

এবার স্তব্ধ সময় ছুড়ে ফেলে দিলাম,
আরও একবার নীরবতা ভেঙে কথা বলা শুরু
নিজের সাথে।

চা’য়ের কাপের প্লেটটা ইচ্ছে করেই
ফেলে দিলাম হাত থেকে।

ভাঙা দেখবো বলে।
চূর্ণবিচূর্ণ শব্দের চলাচল হোক আমার সামনে।

কবিতা লেখা যে পাতাগুলো রাখা ছিলো
সেসব উড়ে যাক, সমস্ত ঘর জুড়ে
সিলিং ফ্যানের হাওয়ার সাথে ।

মাসের ১৫ তারিখ আজ, ক্যালেন্ডারের পাতাটা এখনও
পাল্টানো হয় নি।
এভাবেই থাকুক না!

মুঠো খুলে বসে থাকি এবার,
বৃষ্টি এলে আজ আর জানালার গ্লাসটা টেনে দেব না।
ভিজুক সব।

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ভিজিয়ে দিতে হয় ওদের।
মুখটা গ্রিল ঘেঁষে রেখে দিই বরং,
গোটা আকাশটাকে ডেকে আনি আমার চোখের সামনে।

আমি বেরিয়ে গেলাম,
ভেজাতে নিজেকে।

হাতে বাজারের থলে,
সেবার যে লোক আমার কাছ থেকে সবজির দাম
কেজিতে পাঁট টাকা বেশি রেখে ঠকিয়েছিলো
আজ তাকে ইচ্ছে করেই পাঁচ টাকা বেশি দিয়ে এলাম।

যে লোকটা রোজ নিজের গাছের ফল বিক্রি করতে
বসতো, তাকে ফলের দাম সমেত ফলগুলোও দিয়ে দিলাম।
বাড়ি ফিরে তৃপ্তি নিয়ে খাক সে।

ফেরার সময়, গলির মাথার পাগলটাকে
হোটেল থেকে একথালা গরম ভাত ডাল কিনে দিয়ে এলাম।

ডাস্টবিনের খাবার খেতে খেতে ওর হাসিটা মলিন হয়ে গেছে।
গরম ভাত ডাল পেয়ে তার পাগলামো ঘেরা, ভেতরকার
অস্তিত্বের একটা ঝলক দেখতে পেলাম হাসিতে।
অনেকদিন পাগলটাকে পাগলের মতো প্রাণখুলে হাসতে
দেখিনি, আজ দেখা হলো।

বাড়ি ফিরে এলাম,
এসে দেখি চা’য়ের কাপের প্লেট ভাঙার টুকরোগুলো আম্মা ঝেরে
ফেলে দিচ্ছে,
আমি তাঁকে থামিয়ে ফের টুকরোগুলো ছড়িয়ে দিলাম।

আমার একটিবার পা কাটার সাধ,
রক্ত দেখার সাধ নিজের।
প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদে মাখাবো বলে।

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments