তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ
তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ দুখের অশ্রুধার। জননী গো, গাঁথব তোমার গলার মুক্তাহার। চন্দ্র সূর্য পায়ের কাছে মালা হয়ে জড়িয়ে আছে,তোমারসম্পূর্ণ
গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯০৮-০৯ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর (১৩১৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে) গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ দুখের অশ্রুধার। জননী গো, গাঁথব তোমার গলার মুক্তাহার। চন্দ্র সূর্য পায়ের কাছে মালা হয়ে জড়িয়ে আছে,তোমারসম্পূর্ণ
ওগো আমার এই জীবনের শেষ পরিপূর্ণতা,মরণ, আমার মরণ, তুমি কও আমারে কথা।সারা জনম তোমার লাগিপ্রতিদিনসম্পূর্ণ
দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি,ক্লান্ত বায়ু না যদি আর চলে–এবার তবে গভীরসম্পূর্ণ
শেষের মধ্যে অশেষ আছে,এই কথাটি মনেআজকে আমার গানের শেষেজাগছে ক্ষণে ক্ষণে।সুর গিয়েছে থেমে তবুথামতে যেনসম্পূর্ণ
আমার চিত্ত তোমায় নিত্য হবেসত্য হবে –ওগো সত্য, আমার এখন সুদিন।ঘটবে কবে।সত্য সত্য সত্য জপি,সকলসম্পূর্ণ
আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে । সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে । নিজেরেসম্পূর্ণ
আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই, বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে।এ কৃপা কঠোর সঞ্চিত মোরজীবন ভ‘রে।না চাহিতে মোরেসম্পূর্ণ
অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে।নির্মল করো, উজ্জ্বল করো, সুন্দর কর হে। জাগ্রত করো, উদ্যত করো, নির্ভয় করো হে। মঙ্গল করো, নরলস নিঃসংশয়সম্পূর্ণ
প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে আলোকে পুলকেপ্লাবিত করিয়া নিখিল দ্যুলোক-ভূলোকে তোমার অমল অমৃত পড়িছে ঝরিয়া । দিকে দিকেসম্পূর্ণ
তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে ।এসো গন্ধে বরনে , এসো গানে । এসো অঙ্গে পুলকময় পরশে , এসো চিত্তেসম্পূর্ণ
জগৎ জুড়ে উদার সুরেআনন্দগান বাজে,সে গান কবে গভীর রবেবাজিবে হিয়া-মাঝে।বাতাস জল আকাশ আলোসবারে কবে বাসিবসম্পূর্ণ
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরির খেলা। নীল আকাশেসম্পূর্ণ