কবিতাবিষয়কাব্যগ্রন্থ
সেই ছোট্টবেলা
Added by: সুজন বর্মন
মা
Added by: সুজন বর্মন
পুরস্কার
Added by: সুজন বর্মন
আমার তুমি
Added by: সুজন বর্মন
স্বপ্ন
Added by: সুজন বর্মন
আমার প্রেম
Added by: সুজন বর্মন
সমাধি
Added by: সুজন বর্মন

ভাষা আমার শরীর। যেমন আকাশ মাটি জলও –
তারও আছে শিকড়, তুমি ফুলের কথাই বলো।

‘অ’ বললে তাই অহং বুঝি, ‘আ’ বললে তাই আদর
আমার ভাষায় বসত করে অজস্র বেরাদর।সম্পূর্ণ

অকৃত্রিম অকৃপণ ভালোবাসে মাতা
মাতা যে পরম ধন জীবনের

করো হে আপন মন মাকে তবে সেবা
মায়ের মতো আপন ভূ’তে আছে কেবা।
মায়ের মুখের হাসি অমূল্য রতন
মা যে জীবনের বাঁশি করো হে যতন।সম্পূর্ণ

কী অপরূপ তোমার চোখের দৃষ্টি
তুমি বিধাতার মনের প্রথম সৃষ্টি
তোমার হাসিতে যে চন্দ্র জ্যোৎস্না ছড়ায়
তোমার রূপেতে যে বসন্ত ফুল ফোঁটায়

ঐ হাতের কঙ্কন যেন রিনিঝিনি শব্দ বাজায়
রূপের ঝলকে যেন বিজলি চমকায়
যেমন তোমার মাথার ঘন কালো চুল
তোমার সৌন্দর্যের তুলনা করলে হবে না’কো ভুল

তুমি জীবনানন্দ দাশের নাটরের বনলতা সেন
তুমিই আমার জীবনের প্রথম দেখা, প্রথম প্রেম
তোমার নূপুরের রুনু-ঝুনু তে মন ভরে যায়
তোমার সৌন্দর্য যে মনের মধ্যে রংধনু সাজায়

শিউলির সুগন্ধ ,বকুলের মালা , রক্ত জবার লাল
তুমি সর্ব কালের শিব শক্তির কালের ও মহাকাল
তুমি অনন্যা, রূপের রাজকন্যা, মহা সমুদ্রের তরঙ্গের ধ্বনি
নিস্তব্ধ, একাকি ,রাতের নিদ্রাতে শুনি তব পদধ্বনি

তুমি রথের মেলা , বেহুলার ভেলা , তুমি সুন্দরী পরী
প্রেমী আমি , মোহিত আমি , তোমায় অজানা পথের সন্ধানে খুঁজে মরি
বিজয়ের জয় চির অক্ষয় অবিনশ্বর তুমি, তোমার রূপের বর্ণনা করিতে পারিনি এখনো বর্ণন
যতো দেখি তোমাকে মুগ্ধ হই ততো আমি।সম্পূর্ণ

স্বপ্নে করি ইচ্ছে পূরণ,
আবেগে ভাসাই বুক।
আকাশ পথে চলতে থাকি,
পাই যে অলীক সুখ।
পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে আমি
চাঁদকে ছুঁতে চাই।
ডানা পেয়ে পাখি হয়ে
দিগন্তে মিশে যাই।
ভোরের বেলার শিশির হয়ে
ভেজাবো মাটির বুক,
সন্ধ্যে বেলায় ঘুমিয়ে আছি
নেই কোনো কাজ যোক।
স্বপ্ন আমার ভঙ্গ হলো
হারিয়ে গেলো সুখ,
ইচ্ছে ডানায় ভর করে তাই
স্বপ্নেই খুঁজি সুখ।
সম্পূর্ণ

আমি চাই যে আমাদের প্রেম হােক সেই নব্বই দশকের মত ।
দেখা হােক বা না হােক চোখে চোখে ভেসে থাকুক
তােমার সেই মায়া ভরা মুখটা।
কথা হােক না হােক প্রাণে বাজুক সারাক্ষণ তােমার সুকণ্ঠী কণ্ঠস্বর।
বিচ্ছেদ হলে হােক তবে মনের মধ্যে থাকে যেন একটু মিষ্টি যন্ত্রণা।
দেখা হবে মাঝে মাঝে সেই কদমের তলে,
যেখানে দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে কৃষ্ণ রাধার সাথে প্রেম করতাে।
চোখে চোখে চাহনি হবে কিছুক্ষণ,
ভালােবাসা উপলব্ধি হবে মনে মনে।
দেওয়াল লাফিয়ে চিঠি দিয়ে আসব তােমার কাছে
আর কানে কানে বলব ভালবাসি তােমায়।
চিঠি দেওয়া হবে ছয় মাসে একটা কিংবা দুটো তাতেই হবে,
কিন্তু মনের মধ্যে অনুভূতি যেন না থামে একটুক্ষণ।
পুরানাে চিঠির মাঝে দেওয়া হবে একটা গােলাপ।
সেই শুকনাে গােলাপের গন্ধে বিমােহিত হবে আমার মন।
ঘুমানাের আগে পড়ে নেব সেই চিঠি,
স্বপ্নের কল্পনায় দুজন ঘুরে বেড়াবাে পৃথিবী জুড়ে।
হঠাৎ বহুদিন পরে দেখার জন্য ব্যাকুল হবে মনটা।
একটু দেখা হবে দুর থেকে তাতেই মনে শান্তি পাব
লাজুকতা থাকুক চোখে
কিন্তু ভালােবাসা থাকুক মনের মাঝে অফুরন্ত।
বিয়ে হােক বা না হােক সম্মান আর শ্রদ্ধা থাকবে সারাজীবন।
মাঝ রাস্তায় যদি কখনাে দেখা হয়,
চোখে চোখে চাহনি এটাই হবে অনেক প্রাপ্তি।

সম্পূর্ণ

এমন বৃষ্টিতে চিঠিরা পরপর সমাধি চায়।
যেখানে কেউ নেই, গাছেরা মনে রাখে স্মৃতিবিদায়,
সেখানে বৃষ্টিতে চিঠিরা পরপর সমাধি চায়।

তোমাকে বলি শোনো, এ পথে গেছে যত চারণদল
সকলে ভূমিহারা। অতীত বরাবর জনবিরল।
জলের দম্পতি মেঘেরা স্থানু আজও, নির্দ্বিধায়।

সবুজ ছাই ওড়ে, কুয়াশাপ্রবাদের ঘোড়াটি চুপ,
এখানে বাড়ি বাড়ি নরম ধোঁয়া ওঠে। গরিব স্যুপ।
একটি মেয়ে ছিল, সে আজ বন্দরে যাবে না প্রায়…

এমন বৃষ্টিতে চিঠিরা পরপর সমাধি চায়।সম্পূর্ণ