তোমায় বলা হয়নি অনেক কিছুই
যা বলতে গিয়ে আমার গলা শুকিয়ে আসে প্রতিবার
মনোলিনা —
তোমায় বলা হয়নি অনেক কিছুই
তোমায় বলা হয়নি কেন
আমি তোমায় রাতের আঁধারে আমার চোখের সমুদ্রে
আশ্রয় দিতাম
তোমায় বলা হয়নি কেন আমি তোমায় এতটা ভালবাসি ।সম্পূর্ণ

এখন এ পথ থেকে সে পথ
জিন্দেগি আর মওতের মাঝে যে পথ রয়েছে
হাঁটছি;
সেই পথ থেকে তোমায় দেখা যায় না
শুধু কবিতা লেখা যায়—চিঠি লেখা যায়
এমনকি বিলবোর্ডে আমি লিখে রেখেছি তোমার নাম
প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হলেও
তোমার খোঁজ পাই নাসম্পূর্ণ

তার চেয়ে ভালো
—তুলে নাও শুকনো গোলাপ লেনিন মতবাদের অজুহাতে
পুঁতে নাও বুকের পিঠে
একবার ছুঁয়ে দাও আমায়
আমি বসে আছি “শূন্য” হয়ে
তোমার “তুমি” বসে আছে “শূন্য হয়েসম্পূর্ণ

ডিপ্রেশন!তোমাকে জানাই—
বাম হাতের মধ্যাঙ্গুলির লাল সেলাম
সার্কাস হোক আজ!
চল টেবিলে বসি—
শ্যাম্পেইন,বেনসন ভাগাভাগি করি
তাসের ঘর কিম্বা সাইকো টেবিল
সার্কাস হোক আজ!
হাতে হাতে ভাগাভাগি করে নিই
“দ্যা অ্যাক্টিং অফ হ্যাপিনেস”সম্পূর্ণ

প্রিয়া—
শার্টের ছিঁড়ে ফেলা লাল পকেটটার কাছে
তুমি আজও খুউব প্রাচীন হয়ে আছ
কখনও ভাবিনি এভাবেই আমাদের পথের
বিভাজন ঘটবে সময়ের তাগিদে
ঘটলেই বা– কি
তুমি ছিটকে গেছ পথের আয়ু মাপার আগে
আমি তো ছিটকে যাইনি
শুধু হাঁটছি গন্তব্যের দিকে
পৌঁছতে পারছি না কোনওভাবে
মৃত্যুর মত আমিও খুউব একআ এখন
মৃত্যুর যেমন গন্তব্য নেই কোনও
তবুও মানুষের দিকে হেঁটে আসছে প্রতিনিয়ত
আমিও হাঁটছি গন্তব্যের দিকে
শুধু পৌঁছতে পারছি নাসম্পূর্ণ

চলে যাচ্ছি হাওয়া—নিষ্প্রাণ হয়ে
অপলক দৃষ্টির সাথে সম্মতি জানিয়ে আমি চলে যাচ্ছি
হয়তো কখনও আর ফিরে আসবো না
ফিরে আসলেও বা কি আসে যায়
যে যার মত পরে থাকে জীবনের সাইকেল হাতে নিয়েসম্পূর্ণ

নীরুবালা—তুমি আমার থেইকা যেভাবে মুখ ফিরাইয়া নিলা
আমার মনে চায় আবার মরতে
নীরুবালা—তুমি কী কখনও আমার কাছে আইবা না
পাশে বইসা দুই একটা কথা কইবা না
আগেকার কথা মনে কইরা আমারে ঝাটকি দিবা না
নীরুবালা—আমার মনে চায়
দৌড়াইয়া তোমার কাছে চইলা যায়
কিন্তু আমার তো হাত–পা–ঠোঁট সব বান্ধাসম্পূর্ণ

পূরবী—তুমি দেখে নিতে পারো সবকিছু
বৃত্তের কেন্দ্র–শিশির কণা–করোনারি ডিজিস–প্রবাল দ্বীপ
আধ্ খাওয়া সিগারেট কিংবা ঘন হয়ে আসা চোখের নীল অন্ধকারসম্পূর্ণ

হাঁটা যায় কাদা–মাটির রাস্তায়
নির্বিঘ্নে শোনা যায় পাখিদের ব্যথিত কলরব
স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায় আকাশের বিদঘুটে অন্ধকার
ঘন অরণ্যের নিস্তব্ধতা উপলব্ধি করা যায়
একটা পলাতকা হাত খুঁজতে গিয়ে
বহুদূর হাঁটা যায় উর্বশীসম্পূর্ণ

আহা—তুমি আমাকে জিন্দেগি আর ম‌ওতের মানে বুঝিয়েছো
অথচ আমি ম‌ওত বেছে নিলাম
বেছে নিলাম নিঃসঙ্গ বেদুঈনের জীবন।
কিংবা— জেরুজালেমের মিথ্যে ইতিহাস
কিংবা— পুলসিরাতে পথিকের একাকী পারাপার।
আমি বেছে নিলাম ম‌ওত।
সম্পূর্ণ

ছাপছাপ রক্তফোঁটায় ভেসে ওঠা শিশুর শেষ হাসি
লেপ্টে থাকে ক্যাকটাসের মতোন নবজননীর কোলে।
মুক্তিকামী কবির সেই কবিতা খুঁজতে থাকে
সেই কবিকে ভেঙে পড়া দালানের দু’ফুট নিচে।
তবুও তারা যুদ্ধে যাবে,স্বাধীন হবে বলে।
তবুও তারা যুদ্ধ করে,গম্বুজ রক্ষার স্বার্থে।সম্পূর্ণ

এখন শুধু—
মেঘের বালিশে মুখ থুবড়ে শুয়ে আছে আমার ঋদয়
বৃষ্টি আমাকে চল্লিশ বছর আগের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় প্রতিদিন বিকেলে।
বৃষ্টি,বৃষ্টি আজ পড়ুক—
বৃষ্টি বেরিয়ে আসুক!সম্পূর্ণ