নক্ষত্র পুড়ে যাবে, শুকোবে পৃথিবী; হৃদয়,
কবিদের মৃতদেহ- ঘরচাপা স্মৃতি,
স্পষ্ট ক্যালেন্ডারে দাগ কাটা; মৃত্যু।
তবু আমার ঘাম আর উচ্ছিষ্ট রয়ে গ্যাছে
বিস্তারিত পৃথিবী, কোনো এক নারীর গর্ভে; যোনীতে- হৃদয়ের গহ্বরে।
তুমি যদি হ্যাঁ বলতে-
হোতে পারতো একপশলা বৃষ্টি,
হোতে পারতো কয়েকটা কবিতা; হয়তো তোমার জন্যে একটি রাষ্ট্র।
হয়তো কয়েকটা কফিকাপ, ক্যাপাচিনোয় কেটে যেত নাক্ষত্রিক বছর।
তুমি যদি বলতে,
বর্ষায় জল চুইয়ে পড়তো কয়েকটা রনডেনরন; ডেলফিনিয়ায়।
তুমি যদি বলতে-
নীল শাড়ির আস্তিনে জমা হতো বিদ্রোহী প্রেম।
রাস্তায় ঠোঁটে-ঠোঁট, ব্যারিকেড ভেঙে উঠে যেতো- একশো চুয়াল্লিশ ধারা।
তুমি যদি বলতে-
‘প্রেম’ শব্দটি হয়ে যেতো মৌলিক অধিকার- শুধু কবিতার জন্য জন্ম হতো আরেকটি রাষ্ট্রের।
তুমি যদি বলতে- হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে হতো গোলাপের চাষ- ট্যাঙ্কার,প্যারাট্রুপারে বিলি হতো অবিরত- প্রেমপত্র।
তুমি যদি বলতে-
সংবিধান ভরে যেতো শেলী-সেক্সটনে;
কাশ্মীর হয়ে যেতো ভালোবাসার অভয়ারণ্য।
তুমি যদি বলতে;
আরেকটা বার বৃষ্টি হোক- এই নিহত সমুদ্রে আরেকবার সাইক্লোন-
কবির শেষকৃত্যে বের হতো আনন্দমিছিল;
তুমি যদি বলতে-
ইলেকট্রিক চিতায় পুড়ে যেতাম, পুনর্বার জন্ম নিতাম ম্লেচ্ছের ঘরে ।