প্রিয়তমা সবুজে সবুজে তুমি অভয়ারণ্য হয়ে ওঠো, আমি ঢুকে যাই, বেড়ে উঠি- পৃথিবীর কতখানি দখল করে আছে প্রেম- অথবা তোমার সাদা দালান বাড়ি- পর্যাপ্ত বারান্দা, শালিক ওড়ে- প্রথমত সাপটি ধরে ফ্যালে আস্ত ব্যঙ- আমরা উল্লাসে ফেটে পড়ি, অথবা উৎসবে ওরাংওটাং হয়ে নাচ করি সার্কাসে- তোমার চকচকে দুধসাদা বাড়িতে যেসব অতিথিরা ঢুকে চুর হয়ে গ্যাছে- আমি এইসব অতিথি মাছরাঙা, অথবা সিলভার লিনেন চুষে পড়া ঘামে নেবে- উড়ে আসা স্নাতক রোদ্দুর ছায়ার অর্গল ভাঙি- দেখি ইরেজারে কী করে মুছে নিতে হয় বিষাদ ও মন। উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই বলার- অথবা ছিলোও না, তবু একখানা উড়তে থাকা অন্তর্বাস নজরে এলে পৃথিবীকে অকালপ্রয়াত বিকেল বলে মনে হয়- যেন কোনো এক নারী শূকরীর চিৎকারে প্রসব করে গ্যাছে এইসব উৎসব- জানালায় জানালায়, তোমার ফুসফুস ভেঙে হাসির বর্শারা ছুটে আসে- কার্নিশে ঝুলে থাকে মেঘ- নিষ্কলুষ স্বপ্নে কেউকেউ দ্যাখে বিস্ফারিত চোখ, কেউ দ্যাখে মেরেলিন মনরোর ভূত। সকালের রোদ্দুরে কেউ মুখে পড়ে থাকে হাসির নেকাব, আমি জানি, কথামতো কয়েকটা পাখি উড়ে গেলে জানালায়- তুমিও উড়ে এসে গ্রিলে- সেই আস্ত বাড়ি- তোমার আঙরাখায় উঁকি দিতে হড়কেই পড়ে যাই- স্যাঁতসেঁতে যোনিগূহ্যে লেগে থাকা পিচ্ছিল ফ্লোরা ও মিউকাসে, মিউজিয়াম চষে খুঁজি- তোমার উলম্ব স্কেলে মাপা পিঠ, অথবা থলথলে পেট- যেন রেশম বিছানো বিছানায় শুয়ে থাকা- উঠে বসা, উজ্জ্বল চকচকে বিকেল। সময় নেই আর নেমে এসো, পৃথিবীর আধেকটা ঘুমিয়ে কাটিয়েছে জীবন- সঙ্গমে যে হয়ে থাকে দর্শক কাক- স্প্লিন্টারে ছ্যাঁদা করা বুক- ছেঁতরে নেমে আসে তোমার কোলের জবুথবু আঁচলে- যেন জহুরি চিনে নেয় সোনালী বিকেল।
আচমকা উৎসব থেমে উৎকট ফিনাইল এসে নাক চেপে বসে- মর্গের ঘরে জানালা নেই- তোমার সাদা সেই দালান চোখে পড়ে না, নেইসব স্বর্গীয় শালিক- অথবা অতিথির আনাগোনা,
কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি লিখি- যদি মর্গের দেয়ালে একখানা জানলা করে দেয়া যায়!