কবিতামন কেমনের যত্ন
কবিফারহান নূর শান্ত
বিষয়জীবনমুখী, বিরহ, রূপক
লিখার স্থানময়মনসিংহ
5/5 - (1 vote)

তারপর,
আমাদের হুট করেই মন ভারী হয়ে আসে।
হুট করেই ভেতর থেকে,কেমন যেন একটা ফাকা ফাকা,
একটা শুন্যতা কাজ করে।
যেন, অনেক কিছুর ভীড়ে আমরা একা,
অনেক হারিয়ে যাওয়া মানুষ,
না পাওয়ার জন্য মন কেমন করাটা,আমাদেরকে গ্রাস করতে থাকে।

আমাদের কিছুই ভালো লাগেনা,
চোখ ঝাপসা হতে চেয়েও হয় না।

তখন মনে হয়,মন খারাপটাকে আরেকটু বাড়িয়ে নিই,
প্লেলিস্ট থেকে প্রিয় কোনো গান বাজিয়ে – দূর পানে চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
মনের অজান্তেই আমাদের আঙুল চলে যায় জানালার গ্রিলে,
চলে আঙুলের চলাচল।

বাইরে যতদূর চোখ যায়,আমরা খু্ঁজে বেড়াই
কোথাও কেউ একলা বসে আছে নাকি।
ল্যাম্পপোস্টের তারগুলোতে ঝুলে থাকা একলা ঘুড়ি
কিংবা বৃষ্টির জন্য ছাউনিতে দাঁড়ানো পেপারওয়ালা।

বেঁচে থাকার জন্য দিব্যি লড়ে যায় এ মানুষগুলো,
অথচ খবরের কাগজে ওদের কথাই,
সবার আগে তুলে ধরার ছিলো।
প্রতিটি বাড়ির কলিং বেল,খোলা বারান্দার ফ্লোর
ওরাও জানে ওদের কথা-গল্পগুলো।
অথচ এসব ভাবার পরও মন কেমন করাটাকে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

মাঝে মাঝে আমরা ভেবে পাইনা,আমাদের ঠিক কি চাই?
মনের প্রশান্তি জোগাবে এমন কিছু, ঠিক কি করা যায়?
কেউ এসে জানতে চাক,কি হয়েছে?
আবার জানতে চাইলেও, আমরা পুরোটা বলার মতো আগ্রহ রাখিনা।

আমরা মন খারাপের কাছে সেই দিনটা দাসত্ব স্বীকার করে নেই।
আর মনের তাতে আমাদের জন্য,কিছু যায় আসে না।
সে তার মতো করে আমাদের শুন্যতায় ভাসিয়ে রাখে,
বুঝতেও দেয় না।
আর এভাবেই আমাদের জীবন থেকে হুট করেই একটা দিন, দ্বিধান্বিত ভাবে কেটে যায়।

তারপর,আমরা আর বুঝতে চাওয়ার ইচ্ছেটুকুও বাঁচিয়ে রাখিনা।
যা হচ্ছে হোক,সেসব মনে না রেখে
মেনে নেয়াটাকে আশ্রয় হিসেবে আঁকড়ে ধরি।

তারপর,আমরা হুট করেই প্রশান্তি ফিরে পাই।
আমাদের মন ভারী হয়ে আসাটাকে যত্ন করতে শিখে যাই।

© Farhan Noor Shanto

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments