উত্তরপ্রবেশ
পুরোনো সময় সুর ঢের কেটে গেলো।যদি বলা যেতো:সমুদ্রের পারে কেটে গেছেসোনার বলের মতো সূর্য ছিলোসম্পূর্ণ
সাতটি তারার তিমির কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৫৫ বঙ্গাব্দ) কলকাতা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই কাব্যগ্রন্থের বিরুদ্ধে দুবোর্ধ্যতার অভিযোগ ওঠে।
পুরোনো সময় সুর ঢের কেটে গেলো।যদি বলা যেতো:সমুদ্রের পারে কেটে গেছেসোনার বলের মতো সূর্য ছিলোসম্পূর্ণ
যেইসব শেয়ালেরা— জন্ম জন্ম শিকারের তরে নীরবে বিশ্রুত আলো নিভে গেলে পাহাড়ের বনের ভিতরে নীরবেসম্পূর্ণ
ঢের সম্রাটের রাজ্যে বাস ক’রে জীবঅবশেষে একদিন দেখেছে দু–তিন ধনু দূরেকোথাও সম্রাট নেই, তবুও বিপ্লবীসম্পূর্ণ
দরদালানের ভিড়—পৃথিবীর শেষেযেইখানে প’ড়ে আছে—শব্দহীন—ভাঙ্গা—সেইখানে উঁচু উঁচু হরীতকী গাছের পিছনেহেমন্তের বিকেলের সূর্য গোল—রাঙা— চুপে চুপেসম্পূর্ণ
আমাদের পরিজন নিজেদের চিনেছিলো না কি?এই সব সংকল্পের পিছে ফিরে হেমন্তের বেলাবেলি দিননির্দোষ আমোদ সাঙ্গসম্পূর্ণ
কোথাও পাখির শব্দ শুনি;কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;কোথাও ভোরের বেলা র’য়ে গেছে – তবে।অগণন মানুষের মৃত্যুসম্পূর্ণ
পরের ক্ষেতের ধানে মই দিয়ে উঁচু করে নক্ষত্রে লাগানোসুকঠিন নয় আজ;যে-কোনো পথের বাঁকে ভাঙনের নদীওরসম্পূর্ণ