বনেদি বিহার
যদি বলো ফিরে যাই এই নষ্ট ভোরের আলোহীন আঁধারে
তামাটে ত্বকের গন্ধ ছেড়ে যদি এবার পালাই মানুষের নরকে সম্পূর্ণ
যদি বলো ফিরে যাই এই নষ্ট ভোরের আলোহীন আঁধারে
তামাটে ত্বকের গন্ধ ছেড়ে যদি এবার পালাই মানুষের নরকে সম্পূর্ণ
গতকাল যে ষাঁড় অকাতরে ঘুমিয়েছে নিরীহ গোয়াল ঘরে
সামরিক শিং নিয়ে আজ সে তেড়ে আসছে বিক্ষুদ্ধ মিছিলে সম্পূর্ণ
হন্তারকের ছায়ায় তুমিও এক বাজিকর—কে হে অচিন সুন্দর
ধ্রুপদী জলের অতলে কেনো খুঁজে ফেরো এক প্রাচীন সমুদ্র সম্পূর্ণ
তাসের তুরুপে কেমন করে ছোঁ মারো অর্ধ গলিত সকাল
বিরহের অনলে পুড়েছে কস্তুরী কাঙাল—নিভৃত নখের অনটন
সম্পূর্ণ
ভূ-ভাগে অজস্র প্রেম জাগাও বাউলের চোখে
সমতলে বেঁচে থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জে ওড়াও রূপালি কবুতরসম্পূর্ণ
অগোচরে সারাদিন গেছে হাহাকার—অতলে ঘুণের বসতি
নীলকণ্ঠ নদির বুকে দ্বিধাহীন ভেসে যাও পালকের পুরুষ সম্পূর্ণ
বিনষ্ট বুকে ঝিনুকের দংশন-ঘুমিয়ে থাকো প্রবিষ্ট প্রবাল
বিষাদের বালুঝড়ে তুমি ভীষণ হেরে গেছো পানিকাটা পাখি সম্পূর্ণ
গাছের প্রেমে পাখিরা বাঁচুক—মানুষের প্রেমে মানুষ
সনাতন সারোদে নতজানু নদিরাও জানুক মানুষই ঈশ্বরসম্পূর্ণ
পায়ে পায়ে পোড়ে বিগত দুপুর—ধীরে চলো বসন্তের লালঝুটি
আমার চোখ জ্বলে—বুকের ভেতরে ধুলো ওড়েসম্পূর্ণ
আমিতো সাঁতার না জানা একটা সুনীল শৈবাল
দমকা হাওয়ায় ঢের ভয়—যদি ভেসে চলে যাই তোমার গ্রীবায়
সম্পূর্ণ