ঐ ন্যায়-দূত সূর্য-সূত রৌদ্রান্তক শনি অবচেতন ঘুমন্ত ;
আর পাশে পরে রয়েছে জরাজীর্ণ অকেজো ঘুণাক্ষর ন্যায়দণ্ড।
অতএব,অচৈতন্য দেবতা আর অসার-ন্যায়দণ্ড আমি মানিনা!
আমি মানিনা কোন বিধিগ্রন্থ? বিধিমালার কোন আদেশ-নিষেধ!
আমি মানিনা ঐ ন্যায়ালয়, ন্যায় যজ্ঞ, ন্যায়-দাঁড়ি ,
সর্বমান্য ধর্মাবতার, আমি আপনাকেও মানিনা!
আমি কিচ্ছু মানিনা এবং মানতে বাধ্যও নই।সম্পূর্ণ

গোটা নগরীর শরীরে আলকাতরার মতো কালো প্রগাঢ় প্রলেপ;
দেয়ালে-দেয়ালে আঁকা রক্তের ভীম আলপনা।
রজনীগন্ধার কোন সুবাস নেই,-অবিশুদ্ধ বাতাস,
শুধু ভেসে আসে অর্ধগলিত পঁচা লাশের উৎকট গন্ধ
আমি শ্বাসরুদ্ধ!সম্পূর্ণ

উদিত হোক রৌদ্রোজ্জ্বল প্রখর্য তপন।
অত্যুগ্র ঝাঁঝালো তেজের তিগ্মরশ্মি এসে পৌঁছুক –
ভীতু জনপদে, প্রত্যেক ভীরুর কপালে ফুটুক
চৈত্রের  রক্তচন্দন!সম্পূর্ণ

অমিতাভ সূর্যের রশ্মিরাগ নিষ্প্রভ নিভন্ত ;
একটি অজ্ঞেয় অদৃশ্য অশুভ চক্র ক্রমাগত,
ছুটে আসছে বিধান সভার দিকে ক্ষিপ্র বেগের আবর্তে,
দশানন রাক্ষসেন্দ্র রাবণের মতো বিধান সভা গ্রাসিতে।সম্পূর্ণ

আসলে কবি একজন নকলনবিশ,
অসম্ভব ভালো একজন অভিনেতাও বটে।
যে তার কৃত্রিম ভাবপ্রকাশে এতো ভালো
বাস্তবে অনুভব করা বেদনাকেও ছাড়িয়ে যায়।
সম্পূর্ণ

প্রযুক্তির একাগ্রতা নেশায় মত্ত হয়ে যুগের আবর্তে,
ধীরে-ধীরে ঢলে পড়েছে সজীব-তেজস্বী প্রাণ তীব্র আসক্তিতে।

আমি দেখতে পাচ্ছি একটি প্রজন্মের অকাল সমাপ্তি!
এদের মস্তিষ্ক রন্ধ্র-বিবর করে চুষে নিচ্ছে বোধ শক্তি;
লুপ্ত করে দিচ্ছে তারুণ্যের তেজ-বুদ্ধি-মেধা-প্রতিভা,
এদের কারো-কারো চলন-ভঙ্গি রোবর্টের মতো কিংবা-
কেউ কেউ আজ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী !
সম্পূর্ণ

একটি ধ্বংস-বিধ্বস্ত স্টেশন থেকে,-
আমাদের স্বাধীনতার ট্রেনটি ছেড়েছিল ;

অবশ্য বিনামূল্যে নয়,-
আমরা স্টেশন মাস্টারকে আমাদের বুকের
টকটকে লাল রক্তের বিনিময়ে উঠেছিলাম!
সম্পূর্ণ

এবার তো খুল মুখের কুলুপ,-ওরে ভিতু!
তৈল ম্রক্ষন রেখে, দে আগুনের কাতুকুতু,
এতো দিন ধরে যা খেয়েছে,-যত দুধ-কলা লুটে-পুটে
এরা যে কালে-কালে জন্মে, কাল-চুষা কাল-কেউটে!সম্পূর্ণ

আমরা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ক্ষুদ্রক আয়ত বিশিষ্ট-
একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ডের অধিবাসী;
এটা আমাদের স্বর্গভূমি!
শুনেছি,-স্বর্গে কোন দারিদ্রতা নেই,দুঃখ নেই;
অফুরন্ত সুখ-শান্তি আর স্বাচ্ছন্দ্যে ভরপুর।
অথচ আমরা এখানে হতদরিদ্র ও ক্ষুধার্ত!
সীমাহীন দুঃখে -অসুখে- অস্বস্তিতে ভুগছি;
অবশ্য স্বর্গের ঈশ্বর সর্বদা জাগ্রত এবং নিদ্রাহীন-অনিদ্র।
আমাদের ঈশ্বর কোথায়?
দ্রষ্টা না দৃষ্টিহীন,জাগ্রত নাকি চির-নিদ্রিত?সম্পূর্ণ

কেননা আমি যখন অন্য শহরে,
অন্য জীবনের পথে যাচ্ছিলাম, –
তখন আমার সাথে কোন জমকালো লাগেজ ছিলোনা;
কিংবা স্মৃতি রাখার জন্য অন্য কোন জায়গা।সম্পূর্ণ