পৃথিবীর প্রাচীন পিঠের ওপর আমি এক নবাগত আগন্তুক
এখন কবির হাতের শিরা কেটে যখন রক্ত নিচ্ছেন চিকিৎসক
তখন আমার মনে পড়ছে আমি নিজের রক্ত বেচে মদ
গিলে লিখতে চেয়েছিলুম কবিতা
আমি কি উচ্ছন্নে গেছি? – এখনো অনেক রহস্য রয়েছে প্রচ্ছন্ন
এখনো আমি মরতে ভয় পাই, অর্থাৎ বাঁচতে ভালোবাসি
তাই মেঘলা আকাশের তলায় এক হাতে রেড বুক অন্য হাতে
জীবনানন্দের কবিতা
নিয়ে আমি হেঁটে যাই – মেঘের ছায়ায় যারা রোদ-চশমা পরে
তাদের আমি অপছন্দ করি – যারা সংসারে দাগা খেয়ে ঈশ্বরের
কথা ভাবে
তাদের আমি অপছন্দ করি – যারা দেববিগ্রহে লাথি মেরে প্রশ্ন করে
what is what তাদের আমি ভালোবাসি খুব – আমি উৎসাহের সঙ্গে
মার্কস লেনিন সার্ত্র জয়েস কাফকা নিয়ে কফিহাউসে ধ্বংস করলুম চার্মিনার
তারপর একা মানুষের ভিড়ের ভেতর হেঁটে গেলুম নির্জন, আসলে
আমি আর গ্রন্থের কাছে কিছু পাচ্ছি না – প্রেমিকার কাছে কিছু পাব
বলে তার কাছে ছুটে গিয়ে দেখি – সে শুয়ে আছে আমার
অফিসার দাদার সঙ্গে
আমি বেকার বেশ্যাদের কাছে বলে এলুম ভালোবাসা – আমার
অফিসার দাদা
বোনাসের টাকায় আমার প্রেমিকাকে শাড়ি কিনে দিয়ে তার লাভার
হয়ে গ্যালো
অই টাকায় আমার একমাসের খাবার খরচ হয়ে যেত অর্থাৎ আমার
ভাবী স্ত্রীর
শরীর ঢাকার দাম আমার খোরাকি খরচের সমান ভাবা যায়
আমাদের বেঁচে থাকা
তবু আমি ভালোবাসি উলঙ্গ শিশুটির হাসি, পুরানো পৃথিবী নতুন
হয়ে ওঠে আমার ক্ষুধার্ত চোখের সামনে সুন্দরী রমণীর হাড়ের কাঠামো
সময়ের ভেতর দিয়ে চিতার দিকে চলে যায় – আমি দর্শনের একটা মোটা বই
বিক্রি করে কিনি রুটি ও মদ শুধু বেঁচে থাকার জন্যে এমনকী কখনো
লিখে ফেলি, বিশ্বাস করুন লিখে ফেলি অনাবশ্যক কবিতা।