দেওয়ালে হাত বাড়িয়ে ভিজে ঘাস ছুঁতে ছুঁতে
দাওয়ার কড়ি কাঠে রোদ সরে এলে,
সন্ধ্যের শেষ ঘনবনে লুকোনো শরীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি ফিরোজা আমি,
পুবের কার্নিশে একটা আশ্রয় খোঁজা বিড়াল শাবকের
বারবার গৃহস্থের কাছে ফেরার আকুতি।
তোমার অরণ্যে ঘেরা হলদে শুষ্ক ক্ষুধার্ত মুখে,
অনাহারি সকাল আর উপোষী দুপুর।
তবে তুমিই না বলেছিলে-
শুধু আমাকে চুম্বনের জন্যই বুভুক্ষু তোমার এ পাকস্থলী,
আমার ওষ্ঠে মেশা এক লক্ষ স্ফুলিঙ্গই তোমার অনাদি কালের আহার।
আমার নগ্ন পিঠেই তুমি লিখবে নিঃশব্দ কমরেডের এপিটাফ,
আমার উন্মুক্ত বাহুর সাড়ে সতেরো হাজার স্বেদবিন্দুই বাঁচাতে পারে চৈত্রের তৃষাতুর তোমাকে।
আমিও খুঁজে গেছি তোমাকে পাগলা ঘোড়ার মত –
হেসেলের জানালার শিকে, স্টেশনের চত্বরে, শহরের আগুন্তুক মুখে।
কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রে ছুটতে ছুটতে সেন্ট্রিফিউগালে ছিটকে ছিটকে টুকরো টুকরো হয়েছি বারবার তোমারই শোকার্ত ছায়াপথে।
তুমি বললে আজ দেখা হবেই,
স্তম্ভের মত দাঁড়িয়ে আঁচল বিছিয়ে রইলাম ব্রীড়াবনত আমি।
আমাদের দেখা হয়নি-
নিঃশব্দ নদীর অভিসারি জলে, প্রহরের প্রথম রোদে,
অথচ আমরা দু’জন বেঁচেছিলাম দু’ শতাব্দী জুড়ে।
2021-07-17