পারমিতা, তোমাকে ছুঁতে গিয়ে যেনো আমি এক আবিষ্কারক হয়ে উঠি,
তোমার শরীরের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে আমি খুঁজে পাই অজানা সব উপকথা।
তোমার নরম আঙুলের ডগা-
সাক্ষী রেখে যায় অজন্তার দেয়ালে এঁকে দেয়া সুপ্রাচীন শিল্পকলার,
যেনো তুমিই আঙুলের ফাঁকে কাঠ-কয়লা রেখে,
লিখে দিয়েছিলে পৃথিবীর প্রথম গানের স্বরলিপি।
তোমার ঐ একজোড়া ঠোঁটে-
কি এক অপূর্ব কৌশলে সাজিয়ে রেখেছো রুপকথার সোনাকাঠি-রুপাকাঠি,
আমি এক চুম্বনেই ঘুমিয়ে পড়ি, আবার চুম্বনেই জেগে উঠি অনন্তকাল পর।
তোমার এলোকেশী চুল-
বটের ঝুরির মতো খুব সাবধানে নেমে আসে আমার হৃদয়ে,
তারপর অদ্ভুত এক অনুভূতির রক্তসঞ্চালন ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত অনুভূতিতে।
তোমার ভাবালু চোখজোড়ার-
ডানপাশেরটায় বৃহস্পতি আর বামপাশে চাঁদের সমান উজ্জ্বলতা,
কাজল এঁকে নিয়ে নিমিষেই যেনো শনির বলয়ে লুকিয়ে ফেলো মনখারাপের রাত।
পারমিতা, তোমাকে ছুঁতে গিয়ে ভুল করে আয়নায় দেখে ফেলি আমাকে,
এই যে এতগুলো বিষন্ন রাত পেরিয়ে গেলো তোমাকে ছাড়া,
এই যে ছেলেভুলানো গল্পে নিজেকে ভুলিয়ে রাখি প্রতিনিয়ত,
তোমাকে ছুঁতে গেলেই, শুন্যতায় আঙুল মেখে আমি জেনে যাই-
এক লক্ষ আলোকবর্ষ ধরে তোমাকে ছোঁয়া হয়নি।