আমার ঘ্রাণ তোর মুখস্থ বিদ্যার মতো
আমি তোর মনের ঘরে পোষা এক অমূল্য প্রাণ
আমার ছবি তোর হৃদয়ে রঙ-তুলির আঁচড়
আমার বেঁচে থাকা— তোর প্রাণের প্রতিধ্বনি।সম্পূর্ণ

কোথাও যা কিছু লেখা নেই, লেখা হয় না কখনো—
একদিন দীপাবলির রাতে প্রদীপের আলোয় জ্বলতে পারে,
বেজে উঠতে পারে ঢাক-ঢোল কিংবা অপরিচিত কোনো ধ্বণি
বর্তমান চিঠির ভাঁজে লুকিয়ে থাকুক আমৃত্যু কিছু সত্য। সম্পূর্ণ

কোনো একদিন ডানা মেলে দিও—
শঙ্খচিল, সাদা বক কিংবা প্রিয় মুনিয়া পাখি হয়ে।
শ্রান্ত উটের কাঁধে চোখ রেখে দেখো
অপেক্ষায় আছে, বিষণ্ন মৃতপ্রায় প্রাণ এক।সম্পূর্ণ

আমার হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতিতে ইতিহাসের ছুঁয়াচে রোগ লেগে নেই
নেই কোনো ঘৃণা ও অভিযোগ; সবটাই ভালোবাসা
আর ভালোবাসায় অভিমান!
আমার জানা হয়ে গেছে, জীবন মানেই দুঃখ।সম্পূর্ণ

আমার ইচ্ছা করে,
লজ্জা, ভয়, সম্পর্কের শেষ অধ্যায় মন থেকে মুছে ফেলি
পাহাড়ি ঝরনার বুক বেয়ে ঝরে পড়ি অবিরাম
পাথরের গায়ে গেঁথে দিই আমার মনের সব ক্ষতচিহ্ন। সম্পূর্ণ

এত আয়োজন—
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন মতো ছিল মেয়েটার কাছে।
আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর
আধস্বপ্ন মনে থাকার মতোই
অপূর্ণ রয়ে গেলো আয়োজনের সার্থকতা।
জোনাকির জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠার সাধ
আর পূরণ হলো না!সম্পূর্ণ

চাঁদের আলো আমাকে পথ দেখিয়ে দেয়
রংধনু চেনায় দিশা,
হাঁটতে-হাঁটতে একদিন পৌঁছে যাই নরওয়ের টরোলটুংগা,
তবুও তোমার পাই না দেখা।
আমি নিজেকে আরও অবসন্ন, অসহায়, একা অনুভব করি। সম্পূর্ণ

মেঘ-রোদ্দুরের চুক্তিবদ্ধ দলিল প্রস্তুত,
সবুজ ঘাসেরা তৃষ্ণার্ত।
বাড়ি ফিরে গেছে একঝাঁক সাদা-বক,
তাদের ডানার খুঁজে হাওয়ারা দিগ্বিদিক দিশেহারা। সম্পূর্ণ

বৃক্ষের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় জন্মেছে নবপল্লব,
কৃষ্ণচূড়ার রক্তাভ শরীরে সুড়সুড়ি দেয় মৌমাছির দল,
তবু মনে নেই দোলা।
এ আবার কেমন বসন্ত?
হঠাৎ একদিন বোধ করি—
অন্তরের গভীর কোণে ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি
চোখ মেলে দেখি—
সরষের আড়ালে প্রজাপতির লুটুপুটি।সম্পূর্ণ