গোলাপ অথবা ভালোবাসা
আমার ঘ্রাণ তোর মুখস্থ বিদ্যার মতো
আমি তোর মনের ঘরে পোষা এক অমূল্য প্রাণ
আমার ছবি তোর হৃদয়ে রঙ-তুলির আঁচড়
আমার বেঁচে থাকা— তোর প্রাণের প্রতিধ্বনি।সম্পূর্ণ
নক্ষত্রের অপেক্ষায়
কোনো একদিন ডানা মেলে দিও—
শঙ্খচিল, সাদা বক কিংবা প্রিয় মুনিয়া পাখি হয়ে।
শ্রান্ত উটের কাঁধে চোখ রেখে দেখো
অপেক্ষায় আছে, বিষণ্ন মৃতপ্রায় প্রাণ এক।সম্পূর্ণ
অভ্যাস অথবা বদভ্যাস
আমার হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতিতে ইতিহাসের ছুঁয়াচে রোগ লেগে নেই
নেই কোনো ঘৃণা ও অভিযোগ; সবটাই ভালোবাসা
আর ভালোবাসায় অভিমান!
আমার জানা হয়ে গেছে, জীবন মানেই দুঃখ।সম্পূর্ণ
ব্যর্থ আয়োজন
এত আয়োজন—
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন মতো ছিল মেয়েটার কাছে।
আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর
আধস্বপ্ন মনে থাকার মতোই
অপূর্ণ রয়ে গেলো আয়োজনের সার্থকতা।
জোনাকির জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠার সাধ
আর পূরণ হলো না!সম্পূর্ণ
অনুভূতির ব্যবচ্ছেদ
তুমি ঠিকই অবরোহী বিমানকে
পাশ কাটিয়ে উড়ে গেছো ডানা মেলে।
ঠিক যেমন উড়ে যায় শালিক কিংবা প্যারাকিট!সম্পূর্ণ
শুধু আসা-যাওয়া
হেমন্তের ভোরের সূর্যরশ্মি শিশিরকে শুষে নিয়ে গেলো,
আমার অসুখ শুষে নেওয়ার মতো কেউ এলো না।
অসুখী মন কেবল তোমার চলে যাওয়াটাই মনে রাখলো।সম্পূর্ণ
অসময়ী ভ্রম
চাঁদের আলো আমাকে পথ দেখিয়ে দেয়
রংধনু চেনায় দিশা,
হাঁটতে-হাঁটতে একদিন পৌঁছে যাই নরওয়ের টরোলটুংগা,
তবুও তোমার পাই না দেখা।
আমি নিজেকে আরও অবসন্ন, অসহায়, একা অনুভব করি। সম্পূর্ণ
উদ্ভাসিত বসন্ত
বৃক্ষের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় জন্মেছে নবপল্লব,
কৃষ্ণচূড়ার রক্তাভ শরীরে সুড়সুড়ি দেয় মৌমাছির দল,
তবু মনে নেই দোলা।
এ আবার কেমন বসন্ত?
হঠাৎ একদিন বোধ করি—
অন্তরের গভীর কোণে ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি
চোখ মেলে দেখি—
সরষের আড়ালে প্রজাপতির লুটুপুটি।সম্পূর্ণ