পঙ্কিল তটে শঙ্কিল পথে ছুটেছে মদন পদব্রজে,
যেতে হবে নায় চলেছে দু’পায় পৃষ্ঠে উঠে গজে।
ছুটেছে হেসেহেসে নীলিমায় ভেসেভেসে একঝাক মেঘের ঢেউ,
মেঘনাদ ডাকে কপাটের ফাঁকে দেখেও দেখে না কেউ।
সেদিন সন্ধ্যেবেলা চোখ দু’টো ঢেলাঢেলা ঘাটের অদূরে জীর্ণ বেশে,
বসেছিলো একা নাক মুখ ঢাকা এলোমেলো মলিন আধপাকা কেশে।
হাত পেতে সে দু’টাকা চাহে চোখ দু’টো ভেজা লাল,
বিজলির চমক ক্ষণেক্ষণে ধমক আজ আর নয় দেবো কাল।
তবুও ছাড়ে না বাছা নয় সে এতো কাঁচা দু’দিন পেটে পড়েনি কিছু,
হাত বাড়িয়ে দু’টাকা চেয়ে মাথাটা করলো একটু নীচু।

আজ সারাবেলা মেঘের বাজিখেলা সন্ধ্যায় নেই কেউ ঘাটে,
তাড়াহুড়ো করি দেখেনি সে ঘড়ি বেলা গড়িয়েছে হাঁটে।

একটু সে আগালে ভিখারি ডেকে বলে টাকা ফেলে গেলে এভাবে চলে,
ঘুরে ফিরে এসে কাছে গিয়ে ঘেঁষে দেখিল টাকা আছে দিব্যি টলে।
চেয়ে আছে সেখানে দেখিয়েছে যেখানে অনেক টাকার স্তুপ,
টাকাটা কুড়িয়ে তফিলে ভরিয়ে দিলো জোরে ঘাটেতে ছুট।
ততোক্ষণে মাঝি নৌকা সাজি চলে গেছে বহু দূর,
দাঁড় টেনেটেনে না জানি কোন ধ্যানে গাইছে মাঝি ভাটিয়ালী সুর।

মাঝিকে ডাকিল চিৎকার করে সারা নেই কোন তাঁর,
মনের খেয়ালে পাটনি টানে একাই নদীতে নৌকার দাঁড়।

এর মাঝেই এলো প্রচন্ড ঝড় বুক কাঁপে ভয়ে ভীষণ থরথর,
ঘাটেতে নেই কেউ নদীতে গর্জে ঢেউ জলে টাবুটুবু ডুবে গেছে চর।

তীরের খুপরি ঘরে বাতাসে চাল দোলে আশ্রয় নিয়েছে সেথায়,
হঠাৎ ঘরের বাঁশ মাথায় পড়লো ঠাস থাকতে পারে না ব্যাথায়।

মাথা ঘুরে গেল বৃষ্টি চলে এলো আর কিছু মনে নেই তার,
বাড়িতে দু’টি মেয়ে পথপানে আছে চেয়ে জীবন যুদ্ধে হলো বুঝি হার।
জ্ঞান ফিরে ভোরে চোখ মেলে দ্যাখে চারিদিকে এতো শোরগোল,
অনেক লাশের সারি জীবন নিলো কাড়ি মানুষের কান্নার পড়েছে রোল।
মনেমনে মদন ভেবে দেখে তখন এসেছিলো কে তার কাছে,
মৃদু হেসে বলে এসেছিল ছলে স্রষ্টা সত্যিই আছে।সম্পূর্ণ

কিছু জল গতিপথ বদলায়
অথবা স্থির থাকে।
দলবেঁধে পাহাড় ঘেঁষে নদী ছুঁতে চায় না,
থেকে যায় তার উৎসের কাছাকাছি
অথবা মাঝপথে সুবিধাজনক জায়গায়।সম্পূর্ণ