বারুদ চাই
ষ্টি নয় বারুদ চাই
এত সহযে পাপগুলো ধুয়ে দেব না
ওরা জল ফুঁড়ে উঠেছে,ক্রমপুঞ্জিত আরও
মাটি মাথা দেওয়াল ফুঁড়ে ছড়িয়ে পরেছে
ধ্বংস করেছে, নষ্ট করেছে
এক এক পাঁজর এক এক কালের
ক্রমপুঞ্জিত ইতিহাস, আমাদের
ভাঙা গড়া সবটায় ওদের ছত্রাক উঠছে গজিয়ে
আমায় অরাজগ হতে দাও
লেগে থাকা ঘাম কঠিন শ্রমের দাগে
আমি রেখে যাব শেষ প্রতিকার
ভেসে গেছে সব ভেঙেছে কঠোর ঘায়ে
শকুন নিয়েছে ভাগার সবটা
প্রত্যাশিতের ঘর, জ্বালিয়ে দিয়েছে
হৃদয় অবাধ্য মেয়ে
কি আসে যায় রাজ্য কিংবা সিংহাসনে !
যে দীপশিখা প্রজ্জলিত হৃদয় নামক
ছড়িয়ে দিলে অসংখ্য তার সুবাস ভরে
না জ্বালালে মানুষ নামক বৃত্তিগুলো
কি আর দামী যতই সাজো প্রেম উপাসক !
প্রেম এমনই আধার মানুষ এরই টানে
কেউ ধনী কেউ নি:স্ব হয়ে সবটা খোয়ায়
কার কি আধার রত্ন জানে আগলে তাকে
সোনার মুকুট পরায় প্রেমের সিংহাসনে !!
জানি না
সবই তো এমন অযথাই ঝড় বৃষ্টি ডাকো
সরে গেলে আত্মিক ছায়া
উঠোন’টা এলোমেলো লাগে, শয্যাময় রৌদ্র তামাসা
মনে হয় মূর্ত থেকে উঠে গেছি আমি
একটি পুরুষ তার রৌদ্রগাহ মুখ,দাঁড়ি, চুল প্রখর জিলেট
এখনও রাখা কৌমের ভেতর
সে-ই শুধু তোরঙ্গ বদলায়, একা এক মাঠ
পরে
নি:শব্দে পেয়েছে দেখো কি জটিল
জৈবিক মূর্ছণা, সরে গেছে আত্মিক পিপাসা
ক্ষুধা তেষ্টা সর্বৈব অধ্যায়
চিরন্তন আমি অগোচর বৃষ্টিহীন শ্রান্ত ধূসর
ডাক দেও সর্বৈব আত্মিক
টেনে তোল জীবের ভেতর ,ও ধারে কর্তিত কোন
জীবাংশের দেহ, পূর্ণ তত্ত্ব রেখে দাও
বুকের ওপর,দেখে যাও নিসর্গিক ফলসা জগৎ।
অদ্ভুত ল্যম্পপোস্ট আর মতিচ্ছন্ন খাড়া খাড়া চুল
সাধ্যাতীত ঘাসের ভেতর
একটা চুল্লু দাও আবর্জণা সেরে রাখি
বিচ্ছিন্ন মাথা দুর্বিসহ ঘিলুর ভেতর
এক্সট্রিম দগ্ধতায়
চলুক তিনশো ভোল্ট তোমার আমার!
দীর্ঘশ্বাস শুধু
দীর্ঘশ্বাস শুধু
কখনও মৃত আমির ওপর দিয়ে পেড়িয়ে চলেছে
অর্ধ সমাপ্ত বিদীর্ণ এক পথ, মনে হয়
সক্রিয় গ্রন্থিগুলো নিষ্পেষিত করে
সদর্পে বয়ে যায় শব্দে বর্ণে সালংকারা
আত্মের মত, তৃষিত সে পথ সংগোপনে বুঝে নেয়
মাথার ওপাশে ভগ্নাংশের ছাতির মত
রোদ্দুরে অনাহূত স্মৃতিচিহ্ন বুঝি । বুক চিরে
পিচ গলা ব্যাথা কত শত রোদ্দুর নামে
মৃত আমি বলে ওঠি – দ্যাখো ,দ্যাখো এই আনকোরা
মৃত ঝোঁপ ঝাড়, ফাঁটা পোড়া মৃৎচিহ্ন রেখে
আমার উপর জন্মান্তর এ কি প্রতিশোধ ?
স্মৃতিচিহ্ন থেকে কেউ অন্তর্হিত করেছে আমায়
ধূ ধূ মরুপথ ঢেকে গেছে ধূলিস্তুপে, অনাদৃত গাছেদের
ধূষর বৃত্তের কাছাকাছি, আরও এক
অস্ফুষ্ট কক্ষপথ,নিদাঘ প্রদাহ আর মৃতগন্ধ
শবদেহে যেন নির্বিকার বাহকের
অন্তিম সমাধি আর স্তূপীকৃত লাশ !
কোথাও মিলাতে চেয়ে ফিরে আসে বিদ্ধস্ত ত্রাসে
নাগালেই সব ছিল
সেই গন্ধ বুকে চেপে একা সেই পথ
নিরাকার শ্রেনীহীন ফলগুলো পথেতে লুটায়
এদিক সেদিক আমারই মতন
আজও অবিকল, নিশুথ আঁধারে ভূর্য্যপত্র খুলে দেখি
একগুচ্ছ মনস্তাপ রেখেছে সাজিয়ে
করস্পুটে পারেনি কৃতাঞ্জলি, ভরা সে দীর্ঘশ্বাস শুধু।
সব রুটি ছড়ানো নয়
নিস্কৃতি পেয়েছে সেও ঠাহর হয়েছে
উদ্ধার কবলে প্রিয়ার সে ক্ষীণ চিঠি —— এইবার ফিরে এলে
খোকা হবে নুতন হোগলা ছাওয়া ঘরে |
কবিদেরও খিদে পায়
শুয়ে পরে সুন্দরী হলে। ওটা কি সঠিক,
উঠে যাওয়া মঞ্চে সাজালো একক তোমাকে ?
নেমে এস কবি তুমি তো জনতা,ত্রিশ কোটি নগ্ন ভারত
কেন থাকো দূরে দূরে সরে
নেমে এস সরাসরি বিদ্রোহ করো বলো “ওরাও জনতা”
তোমার মতন অনেকই আছে
বক্ষলগ্ন করো, মানে হুশে সাজাও সারিতে
দেখেছ ছেলেটি রিক্সা হাতে কি অযুত
শব্দ সাজানো —–
সব্জি পাশেই ক্ষিন্ন যে বুড়ো আজও লেখে
চিরকূট খুলে —- চেন তাকে তুমি, সে আমার
রুগ্ন ভারত,জর্জরিত ঋণে
একগুচ্ছ যুঁই
একগুচ্ছ যুঁইয়ের মালায় আমরা দুলব,
দুলে উঠবে জীবন
সম্মিলিত সুখ দেখাতে, টেনে আনব পেছনের স্ক্রীন
জমা খরচের বাজেয়াপ্ত চ্যাপ্টারের
দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্ঘাত, যেখানে মোচ্ছব দল
মহাকোষের খাতা খুলে
এগিয়ে ধরেছেন লাভ ক্ষতির বায়োডেটা,
ফিনকি থেকে শৌর্য ছুড়ছেন দাতা
মাতৃলব্ধ ফলে, যুঁই গন্ধে বিভোর এ সকাল
প্রতিধ্বনিত ——- প্রচ্ছন্ন স্ক্রীনে
ঘাঁপটি মেরে আছে একরাশ শূণ্য মানুষ
দরজার ওপাশ থেকে যাদের সরানো হয়েছে
তদের কোন অস্তিত্ব নেই
ভবিতব্যের সুরা হাতে নিশ্চুপ তারা,
অন্তর্ঘাতের
ঘাম রক্ত মুছতে ব্যাস্ত |
নি:শব্দ অভিসার
ভেঙে দেওয়া হোক সাজানো সুদৃশ্য —-
থ্যাতলানো জিহ্বার লালায় ছড়িয়ে যাক
ল্যান্ড ল্যান্ড ধ্বংসাবশেষ।
ভাঙা দাঁতের সারি সরিয়ে খিঁচড়ে নেওয়া হোক
এক একটি দেশ কালের যোগসূত্র
চোয়ালগুলো ব্যবধিত হতে হতে সম্পূর্ণ
সিঁড়ি উপাখ্যান
বাবা গুলো ছোট হয়ে গেছে
ছেলেগুলো উঠছে ছাপিয়ে
অকাল মৃত্যু জলে ভাসবে জেনেও
কি উদ্বেল ঝাঁপ ! কিছু পরে বিক্রিত পণ্যের মতন
নগর দ্বারে সাজিয়ে সাজিয়ে
কি নিশ্চিত যান্ত্রিক যাপন !
সূক্ষ্ম কাপড় বেয়ে মেপে নেবে দৈন্য সংবেদ
কতটা তাত্ত্বিক, কতখানি উপেক্ষিত
ক’ ফোটা অস্তিত্ব তার পার্থিব স্কেচ হয়ে আছে
বাবারা ভুলেছে
সম্পূর্ণ