আগুনে আঙুল রেখে
আগুনে আঙুল রেখে ঠায় বসে আছিকেউ ডাকলে যাতে সাড়া পায়। ঘরের বাইরে গোল সার্কাসের মাঠ।নিরাপত্তা-বিধায়কসম্পূর্ণ
আত্মসমালোচনা
এও এক ধরনের অসুখএ বোধ, অতৃপ্তির আর অসর্ম্পূতার।এর জ্বরও ওঠে, নামে, কাঁপায়।গভীর বৃষ্টিতে ভিজে ঘরেসম্পূর্ণ
আমি কি ধরিত্রীযোগ্য
আমি কি ধরিত্রীযোগ্য?এই প্রশ্নে কেঁপে ওঠে তারঅসুখের ঘূণ-লাগা শরীরের অসি’-মজ্জা হাড়।তাকে ঘিরে আছে মেঘতাকে ঘিরেসম্পূর্ণ
একটি দুটি তিনটি যুবক
কলকাতা শহরে মাত্র একটি দুটি তিনটি মানুষএখনো যুবক হয়ে আছে স্বেচ্ছাচারে।ফুটবলের মতো তারাকারো পায়ে থাকেসম্পূর্ণ
করাত কেটে চলেছে
করাত কেটে চলেছে ভিতরেবাইরে তুলকালাম পিকনিক।অস্ত্রাঘাতের শব্দে শিউরে উঠল কে?বাতাস।এক শ্মশান থেকে আর শ্মশানে ছুটছেসম্পূর্ণ
গায়ত্রী মন্ত্রের আলো
কবিতা লেখার রাতভিজে গেছে অঘ্রাণের উদাসীনতায়।সব ক্ষীপ্র অত্যুৎসাহেউদ্যোগে ও কর্মকান্ডে আজ লেগে আছেশিশিরের সাদা ফোঁটাজলসম্পূর্ণ
তোমার মুখের দিকে
প্রণাম করব। কিন্তু পা কই? আগুনে ও হিমজলে পা ডুবিয়েএখনো তো তাঁর অফুরাণ হাঁটাবরণ করব।সম্পূর্ণ
তোমারই সঙ্গে
তোমারি সঙ্গে যুদ্ধ প্রহরে প্রহরেতোমারই সঙ্গে সন্ধি,তোমারই মূর্তি নির্মাণে আমি নিজেকেকরেছি পাথর চূর্ণ।সর্বনাশের পাশা নিয়েসম্পূর্ণ
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
প্রখর তুলির পাশে কতদিন অবনত হয়েছি বিস্ময়ে।এ কী টান! বিদ্যুতের চেয়ে দ্রুত এ কী বলবানরেখারসম্পূর্ণ
নতুন শব্দ : সফদার হাসমি
এই মৃত্যুশোককাঁধ থেকে নামানো যাবে না কোনোদিন।আর বর্বরতা কি নির্বোধ।যেন মৃত্যু হলেই মুছে যায়প্রতিজ্ঞার প্রাণ।আক্রমণসম্পূর্ণ
পাহাড় গন্তব্য ছিল
বইয়ের উপর থেকে ধুলো মুছে নিলেআরো ধুলো রয়ে যায় অক্ষরের স্থাপত্যকে ঘিরে।ফলে ব্যাঙই সাপ খায়সম্পূর্ণ