খাদিজা ইভ

একটা প্রকট দুর্গন্ধে শ্বাস নিতে পারছি না। এক পলিথিন গলিত মাংস কিংবা টাকাওয়ালাদের উচ্ছিষ্ট খাবারসম্পূর্ণ

আমার বাম স্তনে হাত দেয়া ছেলে দুটো আবার তার বাবা মার কোলে ফিরে যাক, যেসম্পূর্ণ

প্রতি রাতে ভাবি একটি কবিতা লিখবো, তোমার মতো সহজ আর সাদাসিধে ঘুম থেকে উঠে দেখবোসম্পূর্ণ

পরের জন্মে তুমি মেয়ে হয়ে জন্ম নিও__ হাঁটতে গিয়ে যখন দেখবে তোমার স্তন মাপছে হাতেরসম্পূর্ণ

বাবা গত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ বছর হলো। তাঁর বয়সী কাউকে যখন খুব আদরে হৃদয় বাড়িয়েসম্পূর্ণ

পাগল করা বৃষ্টি দেখেছ কখনো? জানালার পাশে সুরমা বৃষ্টিকে চোখে জড়াতেই শাশ্বত ধ্বনিগুলো ঘণ্টা বাজায়সম্পূর্ণ

চোখের জলে ধুয়ে রাখি প্রতিদিনের অমীমাংসিত ইচ্ছেগুলোকে দু’মিনিট, সারাদিনের শক্তি। অভিমানী মেয়ের চোখে যে আজসম্পূর্ণ

ব্যালকনিতে কুটুম আসে আমি ইচ্ছে হয়ে খেলা করি তার সাথে। বিদায় বলতেই ভয়ে জড়োসড়ো হয়েসম্পূর্ণ

জিজ্ঞেস করলে জীবন নাকি প্রেম বুঝতে চাই বললাম তোমাকে। হা হা করে ভিলেনের মতো করেসম্পূর্ণ

কথামালার কথা আজ হারিয়ে গেছে। ঘোর অমানিশা চারদিকে তার। তবুও তুমি নির্বাক। চলন্ত ট্রেনের কামরায়সম্পূর্ণ

শরীর নয় আকাশেও বিদ্যুৎ চমকালো তোমার স্পর্শে। উজানের চরে মৃদু বাতাসে যেমন ফসল দুলে। দুর্দিনেরাসম্পূর্ণ

অপেক্ষার প্রজন্মে ভর দিয়ে চলছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, অথচ রাশি রাশি পাখি ডানার অভাবে উড়াল ভুলেসম্পূর্ণ