পাগলা গারদের তামার বেড়ি আর লোহার উত্তপ্ত আঁচে পোড়া জিভের মতো আমি তো অতৃপ্ত থাকি বারো মাস , মাথার খুলির ভেতরে ৩ ইঞ্চি স্ক্রু আর ইনফ্রা ফ্রয়েডীয় রেডিক্যালস আর অবসেশড রেডের ভায়োলিন বাজাতে বাজাতেই স্তব্ধ ও অধিকতর শৃঙ্গারে পটু লাল মাকড়সাটিও নীল নভশ্চরের সাথে বিষাদ মগ্ন হৃদয়ের কুণ্ডলিনীটিকে ঝুলিয়ে দিচ্ছে অবিনশ্বর কবচ কুণ্ডলের কঙ্কাল মাথায় , এখানে মুত্রধারের কালো-পোকাটা মূত্র বন্ধের ওষুধ খায় গালে নিভিয়া গ্লো লোশন মাখে রক্তকে ছিটে দেয় নিজের কাঁচের দেয়ালে আর সুইচ টিপে পৃথিবীর আবর্তন গতির উলম্ব কোষ থেকে লাফিয়ে নামিয়ে আনে একটা ফ্রিজিং ভ্রুণের পাতলা ছাল চামড়ার স্টেরোডিক্যাল নেফ্রন ব্যবচ্ছেদ করে , এখানেই কুকুরীদের ক্রীড়ালোক হত্যাকারীদের প্রমান লেগে থাকে দাঁতে দাঁতে মাংসের টুকরো আর লাবণ্য হিরণ্যময় সুরৎ কার্যের এক একটা ধার্মিক রতির মহা পাহারাদার কালো জ্যাকেট পরে ভার্নিয়ার ঢেউয়ে ঝাঁপ দেয় আর পৃথিবীর মতো অতিথলথলে ঝিনুকের মাংস নিয়ে আসে জাহাজের টমেটো ভর্তি ডেকে ,
দাতব্য অন্তঃরীক্ষে গন্ধমাদন দৃশ্য ফেলে রাখে কাপুরুষের মতো মুখের মতো রক্তের মতো রক্ত বীজের মতো পাথরের মতো অস্ত্যর্থক চকলেটের মতো ,কে কাকে দুর্বাশা ভেবে লাল মুত্রগ্রন্থির ভেতরে ঢুকে ঢুকে আমারও বিদগ্ধ আগুন বের করে আমিও মৃত্যুর পরবর্তী মৃত্যুর সাংকেতিক দৃশ্য নিয়ে পরা শরীরে পরিয়ে দিচ্ছি মহাজাগতিক পোশাকের ধুম্রজটা , হ্যালাইন গর্তে শিবের মতো কৈলাসের বিশুদ্ধ যোনি ও জন্মের পূর্ব জন্মের ঘোলাটে বেদানা ছাড়াচ্ছে বুলেট ও বরফের কারবারি ,
রক্তাক্ত শৃঙ্গার পাত্রে আমারই দৃশ্যের অতি ঘৃণিত ছাই লেগে থাকে , কামার্ত আগুনে এ অলৌকিক লৌহ জাহাজটি টুকরো টুকরো হয়ে বেদানা স্থাপত্যের মতো অতীব রক্তহীন পিপাসায় পুঁজ রক্তের ছদ্মবেশী আগুনকে বৃহৎ গর্তে পুঁতে দিচ্ছে একটা লৌহ অপ্সরা নারীর চন্দ্র যুগল , এ ক্ষুধা ঢেলে দেই চামড়ার অবিভাজিত নখ ও পাপের চামড়ার ব্যাগে ,
পিতাই আছে মনোরম প্রাসাদের মহাকর্ষীক অন্তঃপুরের এক একটা মহা কৌশিকী মাকড়সার জালের ছিদ্রান্তর পর্ব ভেদ করে , অনন্ত পশ্চিমে দিকভ্রান্ত সরোবরের নিস্তব্ধ গান শেষে একটি মায়াকোষী রাক্ষস আগুনের গলা কেটে দিচ্ছে গাণিতিক চতুষ্কৌণিক রজস্বলা মন্ত্র দিয়ে , বুকের ভেতর চিনচিন করছে বলে একটা পাতলা হিমায়িত মৃত্যু কম্পাঙ্কের উলঙ্গ ঈশ্বরী ধৃত-রাষ্ট্র পোড়াবে ।
2024-10-20