কবিতাবহুব্রীহি
কবিকান্ত রায়
Review This Poem

ব্যতিহার বহুব্রীহি পেরিয়ে যাচ্ছে উদ্বাস্তুশিবির।উপসর্গ পরাধীনতার সূচক;অক্লেশে নির্জনতম কবি তাম্বুলিককে জিজ্ঞাসা কোরছে,’বিশ্ব সুখ রিপোর্ট কি?’…আমরা পরপদের প্রথমে মৃত্যুক্ষুধা জড়াতে জড়াতে বেদান্ত সারে পেয়ে গ্যাছি নীল বিদ্রোহ।ইহা যেনো কোনও অভিসন্ধি,যেনো এক জ্ঞাপনপত্র কিংবা দ্বিঘাত সমীকরণ;নবায়নযোগ্য শক্তির পৃষ্ঠে পৃষ্ঠে নামহীন বিভক্তি।
এবার ব্যতিহার বহুব্রীহি প্রশ্ন জুড়েছে,’বোধ কাকে বোলে?’আমরা স্বস্তির পরশ অনুভূত থেকে নিহারন কোরলাম-সুবিধাকে পেঁচিয়ে আছে কালসর্পরুপ শুল্ক,ক্রমহীন ক্রীতদাস বিদীপ্তা,মূলে স্থুল,স্থুলকায়,স্থুলতা।অস্বীকারে আসে আবহমান লীলাকেলি।চারণভূমিতে অবাধে চাষাবাদ হয় অমাবস্যার জোয়ার-ভাটা।সমতটে গুপ্তসাম্রাজ্যের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের,আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের পূরক গোলাপ।আদতে কাঁটা বহন কোরে কে?মনুজ না গোলাপ!
নৈশরণকে পায়ের তলায় পিষ্ট কোরে এগিয়ে যাচ্ছি নৈশযুদ্ধে।রাসায়নিক দূষণে সহচর রাজবন্দীরা মরে গ্যাছে কবেই!
‘কোনটি আচরণীয়,আর কোনটি নয়’ এ প্রশ্নে সাড়া দিতে গেলে মহীরুহও হয়ে উঠে বৃক্ষশিশু।আত্মজীবনীতে যতোটা চুনের প্রয়োগ থাকে,মৃত্তিকার অম্লতা হ্রাসে কি থাকে ততোটা গুণ?সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হতে নিষ্কৃতি পেলেও,লবণাক্ত সাগরের পানিতে অস্ত যাওয়া ব্যতিহার বহুব্রীহি;মূর্ছা যায় ঠিকই।ইংলিশ চ্যানেলে ফাটল ধরে।অভিশাপ একটা সম্মাননা পুরষ্কার-যে আন্দোলন সচরাচর চোখের তালিকায় পড়ে না।পড়ে যা উপদ্বীপের নাচনকোঁদন চুক্তি,কদাচিৎ সদর দপ্তরের নিরস প্রবঁচনা।
যা হবার তা হবে;নৈশরণকে পায়ের তলায় পিষ্ট কোরে এগিয়ে যাচ্ছি নৈশযুদ্ধে।’আপনি’ ভাঙ্গার চেয়ে,ভেঙ্গে দেওয়া উত্তম।ভেঙ্গে দিলে হয় পাপ,’আপনি’ ভাঙ্গলে হয় মহাপাপ!একদিন সঙ্গমরত ব্যভিচার দৃশ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে,বেঁচে যাবো বিশে।লড়াইটা কসমিক বছরের।লড়াইটা হবে—জিহ্বার সমকোণে এসিডবৃষ্টির লয় চেখে দ্যাখার সমাগ্রহে।
উপযোগিতার মানদন্ডে টিকতে না পারা ক্রন্দনেরা,কর্পূরের মতোন বাতাসে উবে গেলে দৃশ্যমান হয় ফানেলাকৃতির মেঘ।
মুরালির স্বর বিন্যাস ঠিক য্যানো টর্নেডো;হাওয়া অফিস মারফত হলুদ সংকেত জারিকরণের পরেও-যেখানে যাত্রীবাহী বড় মটরগাড়ীতে কোরে ঝুলে ঝুলে আসে খন্ডিত গানের রাগ-রাগিনী!রাগের আরোহ এবং অবরোহের সঙ্কটমুহুর্তে কানের ভেতরে আছড়ে পড়ে ক্যান্সার।মানবিক ছায়াপথ গানের অক্ষরেখা কেন্দ্র কোরে ঘুরে আসতে যে ফুরসত আবশ্যিক,সে তিথিতে বিশ্ব পরিক্রমার অপভ্রংশে ক্ষুর লেগে তরল রক্ত নিসৃত হয়!প্রতিপাদ স্থান বিদারণ কোরে নিয়েছে থ্রিডি হলোগ্রাম সার্কাস।মঞ্চ হয়েছে মহৎ,যেমন কেঁচো গণ্ডুস।আমরা সান্ধ্য আইন লঙ্ঘন কোরে সান্ধ্যসংগীতের গা ঘেঁষে হাঁটলাম।অক্ষিকোটরের সোপান বেয়ে নামা সলিলে দ্রবীভূত হয় মহিতোষ শোকগাঁথা!অতিরঞ্জিত লিমেরিক অপহরণে মুক্তিপণ দাবি কোরে বিদ্রুপ লিরিকস।পরোক্ষ ইঙ্গিতে বায়ুমন্ডলে ওজোন স্তরের স্বরুপ অধিষ্ঠিত হয় সুরারোপিত গীত।অক্সিজেন পরমাণুর মতোন ফুসে উঠে সারদ,হারমোনিয়াম কিংবা সেতার।

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments