আবহমান ভগ্নী-ভ্রাতা
ডাইনে বাঁয়ে দুইদিকে দুই বাংলা আমার আপন স্বজন দুজন মাতা। ভালোবাসার সাঁকোর ওপর পা টলমল পা টলমল পাসম্পূর্ণ
শব্দের বিছানা এর রচিয়িতা কবি পূর্ণেন্দু পত্রী।
ডাইনে বাঁয়ে দুইদিকে দুই বাংলা আমার আপন স্বজন দুজন মাতা। ভালোবাসার সাঁকোর ওপর পা টলমল পা টলমল পাসম্পূর্ণ
তোমার বিষাদগুলি করতলে তুলে নিতে দাওওষ্ঠপুটে রাখি। ভীষণ বৃষ্টির শব্দ সারাদিন স্মৃতির ভিতরে।একাকিনী বসে আছসম্পূর্ণ
তুমি যখন শাড়ির আড়াল থেকেশরীরের জ্যোৎস্নাকে একটু একটু করে খুলছিলে,পর্দা সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিতসম্পূর্ণ
এইখানে সব আছে। স্তব্ধতার মুখেশুনতে পাবে অবিরল সলজ্জ সংলাপদৃষ্টি যদি ডুবে যায় তরল আঁধারেতবু কারোসম্পূর্ণ
রাজার দুলাল ভেবে ফিরায়ো না।মাথার মুকুট গলে জয়মালা দেখে ফিরায়ো না।আমি সেই প্রাচীন ভিক্ষুক।শিকড়ে বিপুলসম্পূর্ণ
ফুলের আলোয় রাঙা দিগন্তে দুয়ারহীন ছুটেঅভ্রের কুচির মতো সফলতা মাটি থেকে খুঁটেঅমল-বরণ রাতে সকল অমরাবতীসম্পূর্ণ
বৃক্ষের ভাগ্যকে ঈর্ষা করি। নিজের বেদনা থেকে নিজেই ফোটায় পুস্পদল। নিজের কস্তরী গন্ধে নিজেই বিহ্বল।সম্পূর্ণ
আয়নার পাশে একটু অন্ধকার ছায়া এঁকে দাও। ব্যথিত দৃশ্যের পট জুড়ে থাক চিত্রিক আঁধার। দেয়ালেরসম্পূর্ণ
আকাশে বাতাসে তুমুল দ্বন্দ্বকে আগে কাড়বে যূথীর গন্ধকার হাতে বড় নখ।স্বর্গে মর্তে যে যার গর্তেযূথীকেসম্পূর্ণ
জন্মমুহূর্তে বীজের চোখে যেই নামল বৃক্ষের স্বপ্নঅমনি দ্বিখন্ডিত।আবখানা নেমে গেল মাটির তিমিরেশিকড়আধখানা রয়ে গেল মাটিরসম্পূর্ণ
স্বপ্নেরও অসুখ আজকাল।সে-রকম নির্বিরোধী অমল ধবল পালতোলা স্বপ্ন আর বেড়াতে আসে নারাত্রিকালে।আধুনিক স্বপ্নগুলি একালের আঠারোসম্পূর্ণ
স্বরচিত নির্জনতা, সযত্ন-সৃজিত নির্জনতাতুমি আছ পার্শ্ববর্তী,কী অপুর্ব সুখ।বাইরে ভুলের হাওয়া বইছে বহুক।পল্লবেরা মরে শুধু পল্লবেরাসম্পূর্ণ