চারিদিকে প্রকৃতির
চারিদিকে প্রকৃতির ক্ষমতা নিজের মতো ছড়ায়ে রয়েছে।সূর্য আর সূর্যের বনিতা তপতীমনে হয় ইহাদের প্রেমমনে ক’রেসম্পূর্ণ
কবি জীবনানন্দ দাশের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ হল অবেলা কালবেলা। কবির মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা অশোকানন্দ দাশ ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ) এ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন।
চারিদিকে প্রকৃতির ক্ষমতা নিজের মতো ছড়ায়ে রয়েছে।সূর্য আর সূর্যের বনিতা তপতীমনে হয় ইহাদের প্রেমমনে ক’রেসম্পূর্ণ
অনেক নদীর জল উবে গেছে —ঘরবাড়ি সাকো ভেঙে গেল;সে সব সময় ভেদ করে ফেলে আজকারাসম্পূর্ণ
গাঢ় অন্ধকার থেকে আমরা এ-পৃথিবীর আজকের মুহূর্তে এসেছি।বীজের ভেতর থেকে কী ক’রে অরণ্য জন্ম নেয়,-জলেরসম্পূর্ণ
ডুবলো সূর্য; অন্ধকারের অন্তরালে হারিয়ে গেছে দেশ।এমনতর আঁধার ভালো আজকে কঠিন রুক্ষ শতাব্দীতে।রক্ত-ব্যথা ধনিকতার উষ্ণতাসম্পূর্ণ
কোনো দিন নগরীর শীতের প্রথম কুয়াশায়কোনো দিন হেমন্তের শালিখের রঙে ম্লান মাঠের বিকেলেহয়তো বা চৈত্রেরসম্পূর্ণ
আকাশের থেকে আলো নিভে যায় ব’লে মনে হয়।আবার একটি দিন আমাদের মৃগতৃষ্ণার মতো পৃথিবীতেশেষ হয়েসম্পূর্ণ
মাঠের ভিড়ে গাছের ফাঁকে দিনের রৌদ্রে অই;কুলবধুর বহিরাশ্রয়িতার মতন অনেক উড়েহিজল গাছে জামের বনে হলুদপাখিরসম্পূর্ণ
কোথাও পাবে না শান্তি—যাবে তুমি এক দেশ থেকে দূরদেশে?এ-মাঠ পুরানো লাগে—দেয়ালে নোনার গন্ধ—পায়রা শালিখ সবসম্পূর্ণ
বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই,- -আমি বলিনাতো।কারো লাভ আছে;– সকলেরই;– হয়তো বা ঢের।ভাদ্রের জ্বলন্ত রৌদ্রেসম্পূর্ণ
পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে ঘুরে গেলে দিনআলোকিত হয়ে ওঠে—রাত্রি অন্ধকারহয়ে আসে; সর্বদাই, পৃথিবীর আহ্নিক গতিরএকান্ত নিয়ম,সম্পূর্ণ
কেমন আশার মতো মনে হয় রোদের পৃথিবী,যতদূর মানুষের ছায়া গিয়ে পড়েমৃত্যু আর নিরুৎসাহের থেকে ভয়সম্পূর্ণ